Satabdi Roy: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের টাকায় টেন্ডার ‘ভুয়ো’, দাবি জগন্নাথের
BJP: এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ভুয়ো টেন্ডার করে ৬০ লক্ষ টাকার তছরূপের ঘটনা ঘটছিল। আমাদের আশঙ্কা সাংসদ শতাব্দী রায়ের অনন্ত ৭০-৭৫ কোটি টাকার কাজ এইভাবে লুঠ হয়েছে। আমি লোকসভার অধ্যক্ষ, সিবিআই-ইডির ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি।”
বীরভূম: সিউড়ি পুরএলাকায় বিদ্যুতের বাতিস্তম্ভ লাগানোর জন্য টেন্ডার হয়। শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিলের টাকায় কাজ হওয়ার কথা। এই টেন্ডারে গোলমাল হয়েছে বলে তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ভুয়ো টেন্ডারের অভিযোগ তুলে ইডি-সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান তিনি। যদিও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, টেন্ডার অনলাইনে হয়েছে। তা ভুয়ো হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকার খরচের তদন্তের দাবি করেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। একটি কাগজ তুলে ধরে জগন্নাথ দাবি করেন, সিউড়ি পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ বসানোর নামে সাংসদ তহবিলের ৬০ লক্ষ টাকার ভুয়ো টেন্ডার হয়েছে।
বিজেপির এই নেতার দাবি, এই টেন্ডার প্রমাণ করছে সাংসদ তহবিলের টাকা এভাবে নয়ছয় করা হয়েছে। একইসঙ্গে জগন্নাথের বক্তব্য, সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করে। সুতরাং এই টাকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে তা তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভুয়ো টেন্ডার করে ৬০ লক্ষ টাকার তছরুপের ঘটনা ঘটছিল। আমাদের আশঙ্কা সাংসদ শতাব্দী রায়ের অনন্ত ৭০-৭৫ কোটি টাকার কাজ এইভাবে লুঠ হয়েছে। আমি লোকসভার অধ্যক্ষ, সিবিআই-ইডির ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি। আমরা মনে করছি, শতাব্দী রায়ের তহবিল থেকে যা কাজ হয়েছে গত ১৫ বছরে, তাতে কোনও না কোনওভাবে ভুয়ো টেন্ডার করে কাজ বিতরণ হয়েছে। নগরোন্নয়ন দফতর এবং জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট দেখেছি। কোথাও এই প্রকল্পের অনুমোদনের কিছু দেখিনি। সিউড়ি পুরসভার বাতিস্তম্ভ লাগানো সংক্রান্ত কিছুই নেই। আমি মনে করছি সাংসদ, জেলাশাসক এবং যার সইয়ে এই ভুয়ো টেন্ডার বেরিয়েছে পুরসভার চেয়ারম্যান সকলে অভিযুক্ত।”
যদিও এ বিষয়ে সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনলাইন টেন্ডারে দুর্নীতির কোনও জায়গাই নেই। আমাদের সাংসদ শতাব্দী রায় তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়েছেন। কিছুদিন ধরে সিউড়িতে অসামাজিক কাজকর্ম চলছিল, তা রুখতে সিসিটিভি বসানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেন। আর ২১টি ওয়ার্ডে বাতি লাগানোর জন্য ৫৮ লক্ষ টাকা দেন। অনলাইন টেন্ডার হয়। সে সময় টেকনিকাল একটা সমস্যা হওয়ায় আমি তা বাতিলেরও নির্দেশ দিই। আমার কাছে সব কাগজ আছে। বোর্ড মিটিংও ডাকি। সমস্ত কাউন্সিলর ছিলেন। তারও কাগজ আছে। উনি অভিযোগ করছেন ভুয়ো টেন্ডার। কিন্তু অনলাইনে ভুয়ো হতে পারে না টেন্ডার। বিজেপির হিংসা হচ্ছে সাংসদ এত কাজ করছেন। এত কাজ হচ্ছে। আর ইডি, সিবিআই যা খুশি করুন। আসলে আতঙ্কে ভুগছেন। তাই এসব বলছেন।”