Anubrata Mondal: ‘বাঘে’র চোখে জল; মেয়ে এমন কী বললেন, কেঁদে ফেললেন অনুব্রত?

Anubrata Mondal: সেখানে আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ লোকজনও ছিলেন। কথা চলছিল তাঁদের। হঠাৎই আবেগঘন হয়ে পড়েন সুকন্যা। কিছু একটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। খুব স্পষ্ট কিছু শোনা না গেলেও, কারও প্রতি অভিমানেরই বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে হচ্ছিল।

Anubrata Mondal: 'বাঘে'র চোখে জল; মেয়ে এমন কী বললেন, কেঁদে ফেললেন অনুব্রত?
চোখে জল অনুব্রতর।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2024 | 11:41 AM

বীরভূম: তাঁকে বীরভূমের বাঘ বলে সম্বোধন করেন সতীর্থরা। তাঁর জেলমুক্তি হলে বীরের সম্মানে ফেরাতে হবে বলে প্রকাশ্য সভামঞ্চে বলেন খোদ দলনেত্রী। দু’বছর জেলে থাকার পর সেই অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফিরে ভাসলেন চোখের জলে। সোমবার তিহাড় জেল ছেড়ে বেরোন অনুব্রত মণ্ডল। রাতের বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরেন। ভোরে দমদম বিমানবন্দরে নেমে গাড়িতে বোলপুর পৌঁছন।

পৌঁছেই বাড়ির অফিসে বসেন। সঙ্গে ছিল মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও। এদিন নিচুপট্টির পার্টি অফিসে নিজের চেয়ারে বসে অনুব্রত মণ্ডল প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন। কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষও ছিলেন সেখানে।

সেখানে আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ লোকজনও ছিলেন। কথা চলছিল তাঁদের। হঠাৎই আবেগঘন হয়ে পড়েন সুকন্যা। কিছু একটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। খুব স্পষ্ট কিছু শোনা না গেলেও, কারও প্রতি অভিমানেরই বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে হচ্ছিল।

মেয়ের এভাবে ভেঙে পড়া দেখে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি এক সময় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হিসাবে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। কান্না নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। তবে শেষ অবধি পারেননি। দু’হাত দিয়ে চেপে ধরেন চোখ।

বাড়ি ফিরে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে এদিন বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। চা এবং ওআরএস খেয়েছেন অনুব্রত। বিকাল নাগাদ রাঙাবিতানে যাওয়ার কথা অনুব্রত মণ্ডলের। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে বলেও জোর জল্পনা।

দলীয় সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই বীরভূম জেলার সংগঠন ও রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে। একইসঙ্গে আগামিদিনে বীরভূম জেলার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে সেই নিয়েও সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলতে পারেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল।