Bagtui Massacre: কীভাবে মৃত্যু লালন শেখের? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এবার উল্লেখ আসল কারণ
Bagtui Massacre: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী কারণ উল্লেখ রয়েছে?
বোলপুর: গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু লালন শেখের। বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, দেহে কয়েকটি ছড়ে যাওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় সেগুলিকে ‘Superficial Bruise’ মার্ক বলে। লালনের দেহ শৌচাগারে যে শাওয়ার পাইপ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়. তার মাপ জোক করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, মেঝে থেকে সাড়ে ছয় ফুট উঁচুতে ছিল ওই পাইপ। লালনের উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট। লালনের পায়ের কাছে একটা প্লাস্টিকের টুল পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন অকুস্থল। এদিন ফের লোড টেস্ট করা হবে। লালনের দেহের সম ওজন ব্যবহার করে লোড টেস্ট করা হবে। উল্লেখ্য, বুধবারই ৬৫-৭০ কেজি ওজনের পুতুল দিয়ে লোড টেস্ট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। পরিবারের বক্তব্য ছিল, তাঁরা যখন লালনকে দেখেছিলেন, তখন তাঁর শরীরে কাপড় ছিল না। তাঁর জিভ কাটা ছিল। পায়ে রক্তের কালচিটে দাগ ছিল। সিবিআই-এর বিরুদ্ধেই পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার।
লালনের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীকে ওর শেষ করে দিয়েছে। জিভ কেটে দিয়েছে। পায়ে এত জোর জোর মেরেছে, রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। পা মাটিতে লাগানো ছিল। জিভ কেটে দিয়েছে।” তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গলায় ফাঁস লাগিয়েই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। এখনও লালনের মৃত্যুরহস্য নিয়ে ধন্দ কাটেনি। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ ও লালনের পরিবার। এফআইআর-এ নাম রয়েছে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তদন্তকারী অফিসারদের নাম। সেক্ষেত্রে সিবিআই-এরও বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। পাল্টা আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছে সিবিআইও।