Cow Smuggling Case: নাকচ জামিনের আবেদন, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী

Cow Smuggling Case: ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের তিন ঘনিষ্ঠ টুলু, কেরিম, জিয়াউলের বাড়িতে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।

Cow Smuggling Case: নাকচ জামিনের আবেদন, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 6:35 PM

বীরভূম: আগেই হয়েছিল ১৪ দিনের জেল হেফাজত। এবার ফের গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল তথা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে শুক্রবার তোলা হয় আসানসোলের (Asansol) বিশেষ সিবিআই আদালতে। তবে এদিনও তাঁর আইনজীবীর তরফে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু, তা নাকচ হয় যায়। উল্টে ফের তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত (Court)। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১৮ অগস্ট। 

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের তিন ঘনিষ্ঠ টুলু, কেরিম, জিয়াউলের বাড়িতে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সেই সূত্র ধরে এবার অনুব্রত মণ্ডলকে ফের তলব করেছে সিবিআই। আগামী সোমবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে শুক্রবার সকালে এ খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এরমধ্যে এবার অনুব্রত দেহরক্ষীর নতুন করে জেল হেফাজতের নির্দেশ আসাতেও তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। 

এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সায়গলকে আদালতে তোলা হয়। এদিকে সূত্রের খবর, এদিন আদালতে সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার নিদর্শন তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, সেইভাবে কোনও সিজার লিস্ট জমা করতে পারেননি সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারের দাবি, বীরভূম ও কলকাতায় যে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে তাতেই তাঁদের হাতে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেই নথিতে সরাসরি লিঙ্ক রয়েছে সায়গল হোসেনের, এদিন আদালতে এ দাবিও করেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা।  

তাঁদের আরও দাবি, বীরভূমের কেরিম খান ও টুলু মণ্ডলের সঙ্গেও সরাসরি যোগ রয়েছে সায়গলের। একইসঙ্গে এদিন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের নামে আরও ১৫ টি ডিড জমা করা হয় আদালতে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ৫৯টি ডিড জমা করা হল এখনও পর্যন্ত। বীরভূমের মহম্মদ বাজারে ফাইভ স্টার লেভেলের পেট্রোল পাম্পেরও হদিস মিলেছে বলেও দাবি করা হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, গরু পাচারের টাকা সাদা করার জন্য নাসিক থেকে পেঁয়াজ, বালি ও পাথর খাদানের ব্যবসায় খাটানো হত। এ সবেই এখনও জোরদার তদন্ত চলছে বলে দাবি তদন্তকারীদের আইনজীবীর। সে কারণেই তাঁরা সায়গলের জামিনের বিরোধিতা করছেন।