CBI at Birbhum Rice Mill: ‘ভোলে ব্যোমে’র পর এবার ‘শিব শম্ভু’, ফের বোলপুরের রাইস মিলে CBI
CBI at Birbhum Rice Mill: ফের বোলপুরে সিবিআই হানা। শিব শম্ভু রাইস মিলের যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
বোলপুর : ফের বীরভূমের আরও একটি রাইস মিলে হাজির সিবিআই। সোমবার সকালে বোলপুরের ‘শিব শম্ভু’ রাইস মিলে হানা দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মিলের ভিতরে ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালাতে শুরু করেছেন তাঁরা। সিবিআই সূত্রের খবর, তদন্তে যে সব তথ্য উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। রাইস মিলে ঘুরপথে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের টাকা খাটানো হত কি না, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরাও রয়েছেন। এর আগে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার নামে থাকা ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে উঠে এসেছিল একাধিক সূত্র।
অনুব্রত নামে বা বেনামে কী সম্পত্তি আছে, সেটা খুঁজে বের করতেই সিবিআই এ ভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই সব রাইস মিলে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের নামে না থাকলেও আদতে যে অংশিদারিত্ব রয়েছে অনুব্রতর নামে, সেই নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। শিব শম্ভু রাইস মিলে গিয়ে এ দিন নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলছে সিবিআই।
বোলপুরের এই রাইস মিলের দরজায় লেখা রয়েছে, ‘কেয়ার অব জে বি পাল অ্যান্ড ডি ডি পাল রাইস মিল’। অথচ বীরভূম রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের নথিতে এই মিলের মালিক হিসেবে নাম রয়েছে কমল কান্তি ঘোষের। সূত্রের খবর, এই কমল কান্তি ঘোষ হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভগ্নিপতি অর্থাৎ অনুব্রতর বোন শিবানি ঘোষের স্বামী। অথচ কমল কান্তি নিজে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও রাইস মিল নেই। তাহলে এই মিলের আসল মালিকানা কার? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্না রাজা মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার নামে ওই রাইস মিল, আমি এই প্রথম শুনলাম। আমার সঙ্গে বাবার দুবছর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি কিছু জানিনা. বাবাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এই রাইস মিল। গাড়ির আনাগোনাও কমেছে অনেকটাই। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও কেউ কেউ বলছেন, মিলের হাত বদল হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই রাইস মিলের গ্যারাজে দেখা যায় একাধিক বহুমূল্য গাড়ি। সেই সব গাড়ির মালিকানা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ ছাড়া ওই মিলের নামে কোটি টাকার গাড়ির ডিল হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই।