Anubrata Mondal: SSKM-এর রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ? অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক টিম পাঠিয়ে বিতর্কে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার

Anubrata Mondal: তাহলে প্রশ্ন, ফিসচুলা যদি এত মারাত্মক আকার নেয় তাহলে কলকাতা থেকে বোলপুর তিন ঘণ্টার‌ও বেশি যাত্রা করলেন কী করে অনুব্রত?

Anubrata Mondal: SSKM-এর রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ? অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক টিম পাঠিয়ে বিতর্কে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার
অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতে চিকিৎসক (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2022 | 1:19 PM

কলকাতা: এসএসকেএম-এর মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছেন। সোমবারই কলকাতার চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বোলপুরের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন অনুব্রত। এদিকে, মঙ্গলবার সকালেই আবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে চিকিৎসক দল। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ফিসচুলার চিকিৎসার জন্য অনুব্রতর বাড়িতে চিকিত্‍সক এসেছেন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী-সহ তিন জন কর্মী অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে এসেছেন।

বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডল নিজেই চিকিৎসক চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ওপরতলা থেকে নির্দেশ এসেছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ এসেছে। যদি কেউ অসুস্থ বলেন নিজেকে, তাহলে তো আমাদের দেখতেই হবে। আর যদি প্রশাসনিক স্তর থেকে নির্দেশ আসে, তাহলে তো আমাদের দেখতেই হবে।” সুপার জানিয়েছেন, “আপাতত তো ওঁ ফিসচুলার সমস্যা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। ফিসচুলার এখনই কোনও অপারেশনের প্রয়োজন নেই। ফিসচুলা কি জানেন নিশ্চয়? রক্তপাত হয়। যন্ত্রণায় বসা যায় না।” তাহলে প্রশ্ন, ফিসচুলা যদি এত মারাত্মক আকার নেয় তাহলে কলকাতা থেকে বোলপুর তিন ঘণ্টার‌ও বেশি যাত্রা করলেন কী করে অনুব্রত? যিনি বসতে পারছেন না তিনি কী ভাবে এতটা রাস্তা গাড়িতে চেপে এলেন? আরও একটি উল্লেখ্যযোগ্য প্রশ্ন, এস‌এসকেএমের ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কার‌ও চোখে ফিসচুলা যে এতখানি যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় রয়েছে, তা কেন ধরা পড়ল না? প্রশ্নগুলি থেকেই যাচ্ছে।

সোমবার এসএসকেএম-এ জেনারেল সার্জন দীপ্তেন্দ্র সরকার, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ, চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সোমনাথ কুণ্ডুর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। অনুব্রতকে দেখে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে দেখলাম। তাঁকে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই। মানিসক চাপ আছে বলে দেখে মনে হয়নি।” তাহলে কেন ফের অনুব্রতর বাড়িতে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক দল? এদিকে, আবার বুধবারই অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। তার আগে কি আবারও কোনও ‘হাতিয়ার’ খুঁজছেন অনুব্রত? জেলা প্রশাসনকে ব্যবহার করে আবারও কি সিবিআই হাজিরা এড়ানোর চেষ্টা করছেন অনুব্রত? জল্পনা তুঙ্গে।