Khoyrashole Coal Scam: উত্তেজনার মাঝেই আবারও খয়রাশোলের অবৈধ কয়লার ঘাঁটিতে অভিযান পুলিশের, ধৃত ২
Khoyrashole Coal Scam: সোমবারই নওপাড়াতে অভিযান চালায় বিশাল বাহিনী। অবৈধ মজুত করা কয়লা বাজেয়াপ্ত করে বীরভূম জেলা পুলিশ। ২২ ডাম্পার ও ১৪ ট্রাক্টরে আনুমানিক ৫৫০ মেট্রিক টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বীরভূম: বীরভূমের লোকপুর থানার নওপাড়া গ্রামের বেআইনি মজুত কয়লা কাণ্ডের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শেখ আহমেদ ও সঞ্জীব খাঁ নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে লোকপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবারই নওপাড়াতে অভিযান চালায় বিশাল বাহিনী। অবৈধ মজুত করা কয়লা বাজেয়াপ্ত করে বীরভূম জেলা পুলিশ। ২২ ডাম্পার ও ১৪ ট্রাক্টরে আনুমানিক ৫৫০ মেট্রিক টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিন এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বোলপুর সুরজিত কুমার দে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার, ডিএসপি ডিএণ্ডটি, ডিএসপি ক্রাইম, চন্দ্রপুর সিআই, লোকপুর, কাঁকরতলা, দুবরাজপুর ও খয়রাশোল থানার ওসি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিল বিশাল বাহিনী।
সোমবার রাতেই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। ধরপাকড় চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ কয়লা মজুত কারবারের সঙ্গে তারা জড়িতে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে এর পিছনে একটা বড় চাঁই কাজ করছে। সেই মাথা খুঁজে পেতে তৎপর আধিকারিকরা। ধৃতদের জেরা করে বিশেষ কোনও তথ্য হাতে পাবেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
ঝাড়খণ্ড লাগোয়া লোকপুর থানা এলাকার এই নোপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ কয়লা মজুত করার অভিযোগ সামনে আসছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে এনে এই কয়লাগুলি মজুত করা হচ্ছিল বলে খবর। গত শুক্রবার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সেই কয়লা বাজেয়াপ্ত করার জন্য অভিযান চালানো হয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেঁধে যায় গ্রামবাসীদের। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই খণ্ডযুদ্ধ।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ বাহিনী ওই গ্রামে গিয়ে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালায়। অবৈধভাবে কয়লা মজুত করার অভিযোগে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটকও করা হয়। পুলিশের দাবি, এরপরই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন গ্রামাবসীরা। পুলিশ কয়লা সরানোর কাজ শুরু করতে যেতেই ছুটে আসে গ্রামের লোকজন। এরপরই শুরু হয় গোলাগুলি। ৪-৫ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর। তবে পুলিশের দাবি গুলি চলেনি।
এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিলই। তারই মধ্যে সোমবার ফের অভিযান চালায় পুলিশ। আগে থেকেই বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। অতর্কিত যে কোনও ধরনের হামলা হলে কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন উচ্চপদস্থ কর্তারা। তবে এদিন নতুন করে কোনও উত্তেজনা তৈরি হয়নি এলাকায়।
আরও পড়ুন: Madarihat Murder: মাদারিহাটে বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি! নিহত ২