Bagtui Massacre: ধরা পড়ার ৯ দিন পর CBI ক্যাম্পে মৃত্যু বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের

Bagtui Massacre: গত ৩ ডিসেম্বর রাতে গ্রেফতার হন লালন শেখ।

Bagtui Massacre: ধরা পড়ার ৯ দিন পর CBI ক্যাম্পে মৃত্যু বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2022 | 9:03 PM

বীরভূম : দীর্ঘদিন কোনও খোঁজ ছিল না বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। ঘটনার কয়েক মাস পর, ডিসেম্বর মাসেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এরপর থেকে সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন তিনি।  সোমবার সেই সিবিআই ক্যাম্পেই মৃত্যু হল লালন শেখের। কী ভাবে মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ লালনের মৃত্যু নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল লালনকে।

গত ২১ মার্চ বগটুই (Bagtui)-তে উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পর রাতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে পরপর অগ্নিসংযোগ করা হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। ওই ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা গেলেও লালন শেখের কোনও খোঁজ ছিল না গত ৯ মাস ধরে। গত ৩ ডিসেম্বর, শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, সোমবার জেরা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এদিন বিকেল ৪ টে ২৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় লালনের ঝুলন্ত দেহ।

এর আগেও ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও কয়েকজনকে। হত্যাকাণ্ডের অন্যতম চক্রী হিসেবে সামনে এসেছিল আনারুল শেখের নাম। তাঁকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে লালন শেখের ভাগ্নে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেফতার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সম্প্রতি সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েন লালন শেখ। লালনকে জেরা করে নৃশংস হত্যালীলার তদন্তের আরও কোনও নতুন তথ্য উঠে আসে কি না, সেটাই বের করার চেষ্টা করছিল সিবিআই। এরই মধ্যে ঘটে গেল এই ঘটনা।

কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে আঙুল তুলে লালন শেখের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমার পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে সিবিআই। আমার স্বামীকে সিবিআই মারল।’