21st July Birbhum: একুশের টার্গেট দেড় লক্ষ! কেষ্টহীন বীরভূম কী রক্ষা করতে পারবে ভিড়ের রেকর্ড?
21st July Birbhum: কেষ্টহীন বীরভূমে একের পর এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। চাপ তো কম ছিল না। দিকে দিকে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ, সেই সঙ্গে গোঁদের উপর বিষফোড়ার মতো রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ।
বীরভূম: তেইশের শহিদ স্মরণের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে আগে থেকেই। গতবার নিজ হাতে তদারকি করেছিলেন একুশে জুলাইয়ের (21st July) প্রস্তুতি। বর্তমানে বীরভূমের সেই বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে। এবারে ময়দানে নেই কেষ্ট। কিন্তু, কেষ্টহীন বীরভূমে এক জুলাইয়ের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে নারাজ তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী-সমর্থকেরা। ‘কেষ্টদার’ ট্রেন্ড ধরে রাখতে মরিয়া সকলেই। এদিকে রাজ্য নেতৃত্ব বেঁধে দিয়েছে টার্গেট। সভায় চাই লাখ দেড়েক মুখ। ট্রেনে বাসে জমাটি ভিড় হবে সেটাই তো ‘স্বাভাবিক’। নেতা-কর্মীরা হবেন কলকাতামুখী। কিন্তু, বাস্তব ছবিটা ঠিক কী বলছে? কেষ্টহীন বীরভূম কী রক্ষা করতে পারবে ভিড়ের রেকর্ড?
একুশে জুলাই উপলক্ষে প্রতি বছর হুল এক্সপ্রেসে চড়ে তৃণমূলের প্রচুর কর্মী সমর্থক কলকাতা যান। কিন্তু, এদিন ট্রেনে দেখা গেল চেনা ভিড়টা। তৃণমূল কর্মীদের বদলে দেখা মিলল সাধারণ যাত্রীদের। কিন্তু কম ভিড়ের কথা মানতে নারাজ দলের নেতা থেকে কর্মীরা। এক নেতা তো বলেই দিচ্ছেন, আগামীকাল ধর্মতলায় আমাদের দেড় লক্ষের বেশি লোক যাবে। তার কম নয়। এক কর্মী বলছে, ভিড় কম হচ্ছে না। কিছু লোক সাঁইথিয়া, বোলপুর সহ পাশাপাশি স্টেশন থেকে উঠছে। গোটা ট্রেনই ভর্তি হয়ে যাবে।
তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সাফ বলছেন, “একুশে জুলাই বীরভূম জেলা থেকে টার্গেট দেড় লক্ষ লোক। বিগত দিনে যেভাবে আমাদের নেতৃত্বরা কর্মীদের নিয়ে গিয়েছে এবারেও নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর প্রথম একুশে জুলাই
অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূম তৃণমূলের এটাই প্রথম একুশে জুলাই। কেষ্টহীন বীরভূমে একের পর এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। চাপ তো কম ছিল না। দিকে দিকে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ, সেই সঙ্গে গোঁদের উপর বিষফোড়ার মতো রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। তারপরেও জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে সাফল্যের মুখ দেখিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বস্ত করেছেন। যদিও শেষবেলার প্রচারে ব্যানার-পোস্টারে দেখা যায় অনুব্রতর মুখ। পঞ্চায়েত ভোটের বৈতরণী পার করতে না করতেই এবার ফের চ্যালেঞ্জ একুশের প্রস্তুতি। নেতাদের নিদান দেড় লক্ষ চাই-ই চাই। ভিড় যে কম হচ্ছে তা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতারা।
আর এক নেতা বলছেন, অনেক ট্রেনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেকে যাচ্ছেন। তাই হয়তো ভিড়টা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু, কলকাতার বুকে যখন জমায়েত হবে তখন আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব। অনুব্রতর নেতৃত্ব না থাকার কারণেই কী একসূত্রে বাঁধা গেল না বীরভূমকে? নাকি একুশের সমাবেশে যোগ দিতে অনীহা কাজ করছে দলের কর্মীদের মধ্যে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।