‘সহানুভূতির সঙ্গে ভাড়া দিন’, পোস্টার লাগালেন বাস মালিকরা

তবে পোস্টার লাগিয়েও সাড়া মিলছে না বলে অভিযোগ বাস মালিকদের।

'সহানুভূতির সঙ্গে ভাড়া দিন', পোস্টার লাগালেন বাস মালিকরা
বীরভূমের বাসে লাগানো সেই পোস্টার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2021 | 6:22 PM

আজিজা খাতুন, কৌশিক ঘোষ: কোভিড পরিস্থিতিতে বিধি-নিষেধ কাটিয়ে ক্রমশ সচল হচ্ছে সবকিছু। বাস চলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু পেট্রোলের ক্রমবর্ধমান ভাড়ায় দিশেহারা বাস মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয় বলেই দাবি রাজ্যের বাস মালিকদের। তাই কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্রই রাস্তায় বাসের সংখ্যা অনেক কম। এ বার তাই বাসের খরচ তুলতে নতুন অভিনব উপায় বাছলেন বাস মালিকরা। বীরভূমে বাসের গায়ে লাগানো হল পোস্টার। তাতে লেখা, ‘সহানুভূতির সঙ্গে ভাড়া দিন।’ কার্যত বাস যাত্রীদের কাছে অনুরোধের পথে হাঁটছেন মালিকেরা।

বীরভূমে মুর্শিদাবাদগামী বাসের গায়ে দেখা গেল এমন পোস্টার। সেখানে লেখা, ‘যাত্রী সাধারণের প্রতি অনুরোধ। ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অসহায়। অত্যন্ত নিরুপায় হয়ে আবেদন জানাচ্ছি, সহানুভূতির সঙ্গে অনুদান সহ বাস ভাড়া প্রদান করে যাত্রী স্বার্থে বাস পরিষেবা বজায় রাখতে সাহায্য করুন।’ অর্থাৎ ভাড়া না বাড়ালে যে বাস পরিষেবাই কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে, সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে এই পোস্টারে।

তবে এই পোস্টার লাগানোর পরও তেমন কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন বাস মালিকরা। রকি ঘোষ নামে এক বাস মালিক বলেন, কিছু মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভাড়া কিছুটা বেশি দিচ্ছেন, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তেমনটা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বাসের টিকিট কালেক্টরের দাবি, যাত্রীদের বারবার অনুরোধ করে বুঝিয়ে ভাড়া নিতে হবে, তা ছাড়া কোনোভাবেই বাস চালানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: কী দিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘টিকা’? দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার ভ্যাকসিন ভায়াল গেল নাইসেডে

বাস ভাড়া নিয়ে অভিযোগ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এ বার সেই ইস্যুতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকারও। বেসরকারি বাস চালাতে এ বার অনুরোধ করবে সরকার। এই ইস্যুতে আজ, শনিবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেসরকারি বাস মালিকদের বাস চালাতে সত্যিই অসুবিধে হচ্ছে। সরকারি বাস চালাতেও সমস্যা হচ্ছে। তাও আমরা অনুরোধ করছি বেসরকারি বাস মালিকরা যেন দ্রুত বাস চালানোর ব্যবস্থা করেন, নয়ত সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’