Visva-Bharati University: রাতভর অফিসে আটকে, শিবের মাথায় জল ঢালতে হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের

Visva-Bharati University: বারবার ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী। এবার হস্টেল খোলার দাবিতে ফের বিক্ষোভ।

Visva-Bharati University: রাতভর অফিসে আটকে, শিবের মাথায় জল ঢালতে হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের
রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল। পাশে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2022 | 8:10 AM

বোলপুর : আবারও ছাত্র বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। সোমবার দিনভর যে বিক্ষোভের আঁচ পাওয়া গিয়েছে শান্তিনিকেতনে, রাতেও তা জারি রইল। রাতভর ঘেরাও করে রাখা হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়ালকে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খুলতে হবে, অনলাইনে পড়াশোনার পর অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, এমনটাই দাবি পড়ুয়াদের। আর সেই দাবিতে সারা রাত নিয়ামকের অফিসের বাইরে বসে রইলেন পড়ুয়ারা। আশিস আগরওয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে তিনি বেরনোর অনুরোধ জানালেও পড়ুয়ারা তাঁকে বেরতে দেয়নি। তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। গত বছর একটানা আন্দোলন চলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। কয়েকজন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করায় সেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।

হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা রেজিস্ট্রারের

নিয়ামক আশিস আগরওয়াল জানিয়েছেন, এ দিন ভোরে তিনি পড়ুয়াদের বেরনোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শিবরাত্রিতে শিবের মাথায় জল ঢালতে যাবেন বলে বেরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়ারা তাঁর অফিসের সামনে শুয়েছিলেন। তাঁদের গায়ে যাতে পা না লাগে, তার জন্য কার্যত হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পড়ুয়ারা তাঁর জামা ধরে টেনে তাঁকে আটকায় বলে অভিযোগ করেছেন আশিস আগরওয়াল। পড়ুয়াদের দাবি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হলেই তিনি সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন, তার আগে নয়। প্রায় ১৯ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, সকাল পর্যন্তও তিনি আটকে রয়েছেন অফিসেই।

পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক, বলছেন পড়ুয়ারা

ছাত্রদের দাবি, নিয়ামক ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে আনার চেষ্টা করছেন ছাত্র ছাত্রীদের অপদস্থ করার জন্য। এক ছাত্র জানান, সারা রাত অনেককে ফোন করে নানা পরিকল্পনা করেছেন রেজিস্ট্রার। পরে ভোর ৪ টের দিকে তিনি নিজের অফিসে শিবের গান চালাতে শুরু করেন। পরে বলেন, তিনি শিবের মাথায় জল ঢালতে যাবেন। পড়ুয়ারা তাঁকে বাধা দিলে, তাঁদের গায়ের ওপর দিয়েই রেজিস্ট্রার হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি ছাত্রদের। তাঁরা বলছেন, পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

কেন আন্দোলন

পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে হোস্টেল খুলতে হবে, অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, অবিলম্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে। এই নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকেই বিশ্বভারতী অচল করার ডাক দেওয়া হয়।

সোমবার বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা পাঠ ভবনে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে তাঁদের বাধা দেন। বচসায় জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। প্রথমে বচসা, পরে ধস্তাধস্তিও হয় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের। এরপরই পাঠভবনের গেট টপকে পড়ুয়ারা ভিতরে ঢুকে যান। সে সময়ে উপাচার্যের নামে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সেসময়ে নবম শ্রেণির ক্লাস চলছিল পাঠভবনে। সেই ক্লাসও বন্ধ করে দেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন :