Sand Smuggling: কেষ্ট ভূমে নদী থেকে বালি পাচার, কোথায় প্রশাসনের নজরদারি?
Sand Smuggling: ইলামবাজারের কাছে অজয় নদের চরে রাস্তা বদলে গ্রামের অন্য রাস্তা দিয়ে ঢুকছে ট্রাক, ডাম্পার, ট্রাক্টর। পৌঁছে যাচ্ছে নদীচরে। TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি।
বীরভূম: নদীগর্ভ থেকে গায়েব টন টন বালি। বীরভূমের একাধিক জায়গায় দেদার বালি লুটের কারবার। TV9 বাংলায় লাগাতার কভারেজে শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তা সত্ত্বেও, কাজ হয়েছে কি? জেলাশাসকের নির্দেশ সত্ত্বেও কোথায় নজরদারি? এবার প্রকাশ্য আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। যত কাণ্ড বীরভূমে। গরু, কয়লা পাচারের পর এবার দেদার বালি লুট। বদলে পকেটে ঢুকছে কোটি কোটি টাকা। বালি লুঠ নিয়ে লাগাতার কভারেজ TV9 বাংলায়। দ্রুত সব বন্ধের নির্দেশ জেলাশাসকের। কিন্তু তাতেও কি টনক নড়েছে প্রশাসনের? জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে থোরাই কেয়ার বালি মাফিয়াদের! বালি লুঠ রুখতে কোথায় নজরদারি টিম?
ইলামবাজারের কাছে অজয় নদের চরে রাস্তা বদলে গ্রামের অন্য রাস্তা দিয়ে ঢুকছে ট্রাক, ডাম্পার, ট্রাক্টর। পৌঁছে যাচ্ছে নদীচরে। TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি।
সিউড়ি শহর থেকে সামান্য দূরে খটঙ্গা। সেখানে ময়ূরাক্ষীর চরে দেখতে পাওয়া গেল বড় যন্ত্র। TV9 বাংলার ক্যামেরাবন্দি নদী থেকে সদ্য তোলা বালিবোঝাই ট্রাকের ছবি। অথচ এই সময় বালি তোলা নিষেধ। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে খোদ জেলা প্রশাসন।
বালি লুঠ রুখতে নাকি ঘুরছে মোবাইল টিম। কিন্তু কোথায় কী! কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বালি মাফিয়ারা এতটাই শক্তিশালী, যে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কাই করছে না তাঁরা।
ভূমি রাজস্ব দফতরের এডিএম অসীম পাল বলেন, “আমি আমাদের কনসার্ন দুজন বিএলআরওকে জানিয়েছি। তাঁদের নজরে আনার চেষ্টা করছি। নদী থেকে বালি তোলার কোনও প্রভিশনই নেই। পুরোটাই বেআইনি। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।” সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “আমরা চার বছর ধরে বলছি। অজয় নদ পেরিয়ে বীরভূমে দেখা যায় এ সব দৃশ্য। বিভিন্ন জমি জোর করে দখল করেছে ওরা। বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছে।”