Visva Bharati VC: বিদ্যুৎ-পর্ব কাটিয়ে বিশ্বভারতীর ভার গেল সঞ্জয় মল্লিকের হাতে, কে ইনি?
বিদ্যুতের বিদায়ের পর বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। এমনই জানা গিয়েছে বিশ্বভারতী সূত্রে। বিশ্বভারতীর সঙ্গে সঞ্জয় মল্লিকের সম্পর্ক ছাত্রজীবন থেকেই। পড়াশোনার পর সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীতে কলাবিভাগে অধ্যাপনা করছেন তিনি। এ বার তাঁর কাঁধেই আসতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব।
শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বভারতী জুড়ে উৎসবের আমেজ। সেখাকার অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের একটি বড় অংশ বিদ্যুতের বিদায়ে নিজেদের উচ্ছ্বাস গোপন করেননি। বিদ্যুতের বিদায়ের পর বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। বিশ্বভারতীর সঙ্গে সঞ্জয় মল্লিকের সম্পর্ক ছাত্রজীবন থেকেই। পড়াশোনার পর সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীতে কলাবিভাগে অধ্যাপনা করছেন তিনি। এ বার তাঁর কাঁধেই আসতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব।
১৯৬৭ সালের ১০ মে জন্ম সঞ্জয় কুমার মল্লিকের। স্কুলের পড়াশোনার গণ্ডি শেষ করে তিনি ভর্তি হন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলাভবন থেকেই ১৯৯১ সালে স্নাতক হন তিনি। এর পর সেখান থেকেই ১৯৯৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বরোদার এম এস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এর পর বিশ্বভারতীর কলাভবনের হিস্টরি অব আর্টস বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর সেখানে অধ্যাপনা করছেন তিনি। এ ছাড়াও ২০১৪ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমেস্টারে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে পড়িয়েছেন তিনি। বিশ্বভারতী থেকেই লিয়েনে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। জেএনইউ থেকে ফিরে কলাভবনেই ফের অধ্যাপনা শুরু করেন তিনি।
অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশ্বভারতীর কলাভবনের বিভিন্ন প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। একাধিক প্রজেক্টে ছাত্র-ছাত্রীদের গাইড করেছেন তিনি। বিভিন্ন সময় একাধিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা আর্টিকেল। এর পাশাপাশি চারটি বইয়েরও রচয়িতা তিনি।
তাঁর গবেষণার বিষয়গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘দ্য মডার্ন ইন ইন্ডিয়ান আর্ট অ্যান্ড দ্য ডেফিনিং অব দ্য রিজিয়ন’। ‘পিকটোরাল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ন্যারেশন ইন মিনিয়েচার পেন্টিং ট্রাডিশন ইন ইন্ডিয়া’ সঞ্জয় মল্লিকের গবেষণার উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল। এ ছাড়া ওয়েস্টার্ন আর্ট নিয়েও আগ্রহ রয়েছে তাঁর। বিদ্যুৎ পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব নিয়ে বিতর্ক থেকে বিশ্বভারতীকে তিনি মুক্ত করতে পারেন কি না, সে দিকেই এখন নজর শান্তিনিকেতনবাসীর।