‘অনেকদিন আদর করেননি’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ‘স্নেহের’ পাঠ কবীর সুমনের
Kabir Suman: অমর্ত্য সেনের প্রতীচীর সামনে এই সমাবেশ করার জন্য় আগেই ডাক দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই সাড়া দেন কবীর সুমন। শনিবার যোগ দেন।
বোলপুর: শনিবার শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) গিয়েছিলেন কবীর সুমন (Kabir Suman)। বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠানে যোগও দিয়েছিলেন। হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাইলেন গান। তারপরই ‘মমতার’ বার্তা দিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (Bidyut Chakraborty)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, “উপচার্যের নাতি-নাতনি হয়তো এখনও হয়নি। কিন্তু, হয়তো হবে। আমাকেই ধরুন, দাদার থেকে দাদু বলার লোক বেশি হয়ে গিয়েছে। কাকু বলে না, জেঠু বলার লোক বেশি হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে একটা স্নেহের সম্পর্ক আছে। আমি দেখতে পাচ্ছি মাননীয় উপাচার্য স্নেহ পরায়নতাকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। অনেকদিন হয়তো উনি আদর করেননি। এছাড়া কোনও উপায় নেই। বিশ্বভারতীর যদি বারোটা বেজে যায় তাহলে কার লাভ? এটা মাননীয় উপাচার্যকে, আচার্যকে বুঝতে হবে।”
নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছেই। বিশ্বভারতীর সাফ দাবি, অতিরিক্ত জমি দখল করে রেখেছেন নোবেলজয়ী। জমি ছাড়ার জন্য এর আগেও চিঠি পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী। তাতেই ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরৎ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। জল গড়ায় আদালতে। এদিকে শুক্রবার থেকে সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দফায় দফায় শান্তি মিছিল, অবস্থান বিক্ষোভ করে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যোগ দেন চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন, মতো বিশিষ্টজনেরা।
অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচীর’ সামনে এই সমাবেশ করার জন্য আগেই ডাক দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই সাড়া দেন কবীর সুমন। শনিবার যোগ দেন। অমর্ত্য সেনের বাড়ির কাছে মঞ্চ বেঁধে গানও গাইতে দেখা যায়। যদি উচ্ছেদ করা হয় নোবলজয়ীকে তাহলে কী করবেন? সুমনের অকপট উত্তর, “উচ্ছেদ হলে সামনে দাঁড়িয়ে পড়ব। আপনি যাবেন না? আপনিও যাবেন। তখন আর আপনি বুম ধরবেন না। এখনও আমরা বেঁচে আছি।” তবে আগেই একাধিকবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে অমর্ত্য সেনকে। সাফ বলেছিলেন, “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিরোধিতা করি, তাই আমার বাড়ি কেড়ে নিতে চাইছে। তাই হয়তো আমাকেই নিশানা করা হচ্ছে।”