Abhishek Banerjee: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন, বয়কট করলে জায়গা পেত না’, কুণালকে নিশানা অভিষেকের?

Abhishek Banerjee: এ দিন একই ইস্যুতে আবারও মন্তব্য করেন অভিষেক। নাম করে বলেন, "দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমি যতটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি,আমি যতটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি ছোট থেকে দেখেছি উনি সরিয়ে দাও,হটিয়ে দাও এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না।

Abhishek Banerjee: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন, বয়কট করলে জায়গা পেত না', কুণালকে নিশানা অভিষেকের?
কুণাল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2025 | 5:53 PM

কলকাতা: শিল্পী বয়কট নিয়ে ফের সরব তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল কংগ্রেস বয়কটের রাজনীতি করে না। সবাই স্বাধীনচেতা মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বয়কটের রাজনীতি বিশ্বাস করেন না…যদি সেইটাই হত অনেকেই দলে ফিরতে পারতেন না।” নাম না করে কি ফের কুণাল ঘোষকে নিশানা করলেন অভিষেকের? কারণ, একসময় এই কুণাল ঘোষকেই বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘সারদায় সব থেকে বড় বেনিফিশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তাহলে কি বার্তা তাঁর দিকেই? নাকি অন্য কাউকে নিশানা? যদিও, পরে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “আমি মনে করি না এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় বলেছেন। আমি যা বলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েই বলি। তাই আমার মনে হয় সার্বিকভাবেই বলেছেন।”

প্রসঙ্গত, আরজি কর ইস্যুতে যে সকল শিল্পীরা সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন তাঁদের বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা প্রতিবাদের নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কুৎসা করেছেন। সেই ক’জনকে বলা হয়েছে। সেটা আমি তৃণমূল কর্মী হিসাবে আবেগ থেকে বলেছি। যা বলার এরপর তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপধ্যায় বলবেন।” তবে সেলেবদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি অভিষেক। উল্টে পরিষ্কার তিনি বলেছিলেন, প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতায় তিনি বিশ্বাসী। পাল্টা আবার কুণালকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে সময় আরজি কর নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠছে তখন অভিষেক ছিলেন না। সামলেছেন তাঁরাই। সেই শিল্পী বয়কট নিয়ে কার্যত তৃণমূলের মধ্যে আড়াআড়ি ভাগ দেখা গিয়েছিল।

এ দিন একই ইস্যুতে আবারও মন্তব্য করেন অভিষেক। নাম করে বলেন, “দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমি যতটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি,আমি যতটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি ছোট থেকে দেখেছি উনি সরিয়ে দাও,হটিয়ে দাও এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। যাঁরা বয়কটের কথা বলেন, একসময় তো তাঁদের মধ্যে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন। তাই উনি যদি এই বয়কটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন তাহলে তাঁরাই দলে ফিরতে পারতেন না। আমরা বয়কটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। বাকি দলনেত্রী হিসাবে উনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই শিরধার্য।”

অভিষেক এদিনও ব্যক্তি স্বাধীনতায় জোর দিয়েছেন। তিনি বলছেন, “আমরা সকলেই স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি জানি এখন অনেক শিল্পী ভাবছেন তাঁকে ডাকা হচ্ছে না মানে তৃণমূল বয়কট করিয়েছেন। তৃণমূল বয়কটের রাজনীতি করে না। ঠিক তেমনই আমার পাড়ায় আয়োজক হিসাবে সিদ্ধান্ত আমার। এর সঙ্গে বয়কট মেলানো উচিত নয়।”