Abhishek Banerjee: জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে কেরিম খানকে সরানোর নির্দেশ অভিষেকের: সূত্র

Abhishek Banerjee: বীরভূম জেলার রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেরিম। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

Abhishek Banerjee: জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে কেরিম খানকে সরানোর নির্দেশ অভিষেকের: সূত্র
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2023 | 12:00 AM

নানুর: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কোচবিহার থেকে যে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছিলেন, আজ তা ১৮ দিনে পড়ল। বীরভূমের (Birbhum) কর্মসূচি শেষ করে অভিষেক এখন পূর্ব বর্ধমানে। বীরভূম ছাড়ার আগে এদিন নানুরে একটি দলীয় বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক। সূত্রের খবর, সেই বৈঠক থেকেই বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। উল্লেখ্য, বীরভূম জেলার রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেরিম। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

এদিকে সাম্প্রতিককালে এই কেরিম খানের বিরুদ্ধে এক মেলা উপলক্ষ্যে জোর করে জমি দখলেরও অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে সূত্রের দাবি, এবার পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কেরিম খানকে বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সূত্রের দাবি, নানুরের সাংগঠনিক বৈঠকে দুর্নীতির অভিযোগ থাকার কারণে দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রকেও সতর্ক করেছেন  তিনি। এর পাশাপাশি সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইস্যুতেও নানুরে তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করেছেন তিনি।

এই নিয়ে কেরিম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টিভি নাইন বাংলাকে জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি আজকে যেমন চেয়ারে গিয়ে বসেছেন, সোমবারও সেই চেয়ারে গিয়ে বসবেন। তবে বীরভূমের জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

এদিকে নানুরের দলীয় বৈঠক নিয়ে এদিন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলেও একটি পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে বেশ কিছু ছবি সহ অভিষেক লিখেছেন, ‘এটা আসলে জেলাস্তরের আভ্যন্তরীণ দলীয় পর্যালোচনাভিত্তিক সাক্ষাৎ। উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃত্ববৃন্দ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন কোন ক্ষেত্র বিশেষে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে তার একটা ধারণা পাওয়া গেল।’