Jiban Krishna Saha: মুর্শিদাবাদের বিধায়ক, এদিকে কেষ্টর জেলায় পর্বতপ্রমাণ সম্পত্তি, কানেকশন খুঁজছে CBI

Jiban Krishna Saha: জানা যাচ্ছে, ২০১৮-২২ সালের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার জমি কেনা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জমি কিনেছিলেন কেষ্টগড় বীরভূমেও।

Jiban Krishna Saha: মুর্শিদাবাদের বিধায়ক, এদিকে কেষ্টর জেলায় পর্বতপ্রমাণ সম্পত্তি, কানেকশন খুঁজছে CBI
জীবন কৃষ্ণ সাহা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2023 | 6:05 PM

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় শাসক বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার সূত্র ধরে শুক্রবার দুপুর থেকে যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে, তা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এরই মধ্যে জীবনকৃষ্ণের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেল। সূত্রের খবর, নিজের নামেই কোটি টাকার জমি কেনেন জীবনকৃষ্ণ। জমি কেনার সরকারি নথির কিছু অংশ ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে টিভি নাইন বাংলার। জানা যাচ্ছে, ২০১৮-২২ সালের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার জমি কেনা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জমি কিনেছিলেন কেষ্টগড় বীরভূমেও। ঘুরে ফিরে আবারও কি সেই বীরভূম যোগ? নথি বলছে, বোলপুর পুরসভা এলাকায় সাড়ে পাঁচ কাঠা জমি কিনেছেন বিধায়ক। উল্লেখ্য, বোলপুর পুরসভার এক পশ এলাকায় এই জমি। জমির দরও এখানে অনেকটা বেশি। সেই এলাকায় সাড়ে পাঁচ কাঠা জমির নথি ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে।

এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জায়গায় বিধায়কের সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় চার কাঠা জমি রয়েছে বিধায়কের নামে। শুধু তাই নয়, সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকাতেও তাঁর নামে সব মিলিয়ে প্রায় ২৪ কাঠা জমি রয়েছে বলে খবর। এই সাঁইথিয়া পুর এলাকায় তাঁর একটি তেলকল রয়েছে বলেও সিবিআই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি কোল্ড স্টোরেজ ও রাইস মিলের মালিক বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। বীরভূম জেলাতে বিধায়কের একাধিক ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। বিধায়কের এই বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি কীভাবে তৈরি হল, সেই বিষয়টিও নজরে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের।

উল্লেখ্য, বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক হলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। ২০১৬ সালে জীবনকৃষ্ণর বিধানসভার টিকিট পাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে তিনি বিধানসভার টিকিট পাননি। পরে অবশ্য ২০২১ সালে বিধানসভার টিকিট পান তিনি এবং বর্তমানে শাসক বিধায়ক।