Birbhum: প্রকাশ্যে রাস্তায় ঘিরে ধরে ৯ যুবককে একের পর এক কুপিয়ে খুন, কাঠগড়ায় উঠছিল গোটা গ্রাম, ৪৩ বছর পর বড় রায় আদালতের
Birbhum: কোটগ্রাম থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মাড়গ্রাম থেকে এসেছিলেন ওই যুবকের দল। সেখানে একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। বচসা থেকে হাতাহাতি, শেষে গোটা গ্রাম ঘিরে ধরে নয় যুবককে।
সিউড়ি: ঘিরে ধরেছিল গোটা গ্রাম। প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল ৯ জন যুবককে। রক্তে ভেসেছিল রাস্তা। হাজার বাধার মধ্যেও থামেনি নৃশংস ‘জনতা’। কোপের পর কোপ। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিল ৯ জনই। আজ নয়, এ ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে ৪৩ বছর আগে। সেই মামলাতেই একযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন ১৩ জন। যদিও থানায় মামলা দায়েক হয়েছিল ৭২ জনের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, ১৯৮১ সালের ৮ অগস্ট তৎকালীন ময়ূরেশ্বর থানার (বর্তমানে মল্লারপুর থানার অন্তর্গত) কোটগ্রামে ৯ যুবককে খুনের অভিযোগ ওঠে। কোটগ্রাম থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মাড়গ্রাম থেকে এসেছিলেন ওই যুবকের দল। সেখানে একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। বচসা থেকে হাতাহাতি, শেষে গোটা গ্রাম ঘিরে ধরে নয় যুবককে। প্রাণ ভয়ে তাঁরা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনা হয় সকলকেই। প্রকাশ্য রাস্তাতেই কুপিয়ে খুন করা হয় নুর হোসেন, শাহজামাল শেখ, আলি হোসেন সহ নয় যুবকেরই। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। সেই সময় বিস্তর চর্চাও হয় তা নিয়ে। এরইমধ্যে যুবকদের পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ জানালে অ্যাকশনে নামে পুলিশ। যুবকদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কোটগ্রামের ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তারপর থেকে চলছিল মামলা। এদিকে মামলা চলাকালীন সময়েই অনেক অভিযুক্তের মৃত্যুও হয়। অনেকে আবার হাজিরাও দেননি। অবশেষে শুনানি শেষে দোষী সাব্যস্ত হলেন ১৩ জন। সোমবার সাজা ঘোষণা।