Anubrata Mondal: অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে দলের রাশ কার হাতে? রামপুরহাট-বোলপুরের পর সিউড়িতে বৈঠকে ঘাসফুল নেতারা

Anubrata Mondal: এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা জেলা স্তরের অনেক নেতা। দীর্ঘ বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হল?

Anubrata Mondal: অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে দলের রাশ কার হাতে? রামপুরহাট-বোলপুরের পর সিউড়িতে বৈঠকে ঘাসফুল নেতারা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2022 | 11:35 PM

সিউরি: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর কার্যত ‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়েছে বীরভূম তৃণমূল। জেলায় দলের রাশ থাকবে কার হাতে থাকবে তা নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। শনিবার বোলপুরে (Bolpur) সভা করতে দেখা যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে (Trinamool Leaders)। সূত্রের খবর, তিনটি মহকুমায় সভা হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো আগে রামপুরহাটেও সভা হয়। রবিবার সভা হল সিউড়িতে। বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূল ভবনে বসে বৈঠক। বৈঠক শেষে ফের একবার সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। 

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা। ছিলেন জেলা তৃণমুলের সহ সভাপতি অভিজিত সিনহা, জেলা তৃণমুলের চেয়ারম্যান আশিস বন্দোপাধ্যায়, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল সহ অন্যান্য নেতারা। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বর্তমানে কাদের কাঁধে থাকবে দলের গুরু দায়িত্ব, কারা থাকবেন পরিচালকের ভূমিকায়, কিভাবে আগামী দিনগুলিতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিশদে আলোচনা চলে। 

বৈঠক শেষে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের তিনটি সাবডিভিশনে তিনটি সাংগঠনিক সভা হওয়ার কথা ছিল। রামপুরহাটে হয়েছে। গতকাল বোলপুরে হয়েছে। আজ সিউড়ি সাবডিভিশনে সেই সভা হল। সমস্ত ব্লকের সভাপতি থেকে, প্রতি অঞ্চলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, মেম্বার, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সকলেই ছিলেন আজকের সভায়। আগামীতে জায়গায় জায়গায় দলীয় কর্মসূচিকে সঠিকভাবে রূপায়নের জন্য আমরা কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিগতদিনে আমাদের যে জেলা সভা হয়েছিল তাতে ঠিক হয়েছিল বর্তমানে বীরভূম জেলায় কোঅর্ডিনেটর হিসাবে বিকাশ রায়চৌধুরী কাজ করবেন। সেটাই বহাল আছে।”

একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি, গরু পাচার মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি।  মলয়বাবু বলেন, “এটা সিবিআইয়ের ব্যাপার। তদন্ত অত্যন্ত প্রাথমিক স্তরে আছে। রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সিকে দিয়ে নানাভাবে আমাদের দলকে অপদস্ত করার চেষ্টা চলছে। যতক্ষণ না পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ সামনে আসছে ততক্ষণ এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে পারব না।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “ঘোলাজলে মাছ ধরতে অনেকেই চেষ্টা করবেন। আপের মতো ছোট দলেরাও আসছেন ঘোলা জলে মাছ ধরতে। কিন্তু, সে গুড়ে বালি। আমাদের প্রতি জায়গাতেই বুথস্তরের কর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। তারা ব্যাপারটা দেখে নেবেন।”