Anubrata Mondal: ৫৭০ ভরির গয়নায় সাজে ‘কেষ্ট কালী’; জেলে অনুব্রত, তাই এবার গয়নাও হাতে গোনা…
Kali Puja: প্রতি বছরই বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পুজো করে এসেছেন অনুব্রত। কোভিড পরিস্থিতিতে আয়োজন সংক্ষিপ্ত হলেও মায়ের গায়ে ছিল প্রচুর গয়না।
বীরভূম: প্রতি বছর এই কার্তিক অমাবস্যায় বোলপুরের (Bolpur) নিচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পুজো দেখতে ভিড় দেখা যেত মানুষের। এলাকায় এই পুজোর ‘কেষ্ট কালী’ নাম হয়ে গিয়েছে। এবার সে ছবিতে বদল। একেবারে নমঃ নমঃ করে পুজো হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। ‘কেষ্টদা’ নেই, গরাদের পিছনে তিনি। তাই পুজোর আয়োজনও জৌলুসহীন। বাড়ির কালীকে শেষবারও যে গয়না পরানো হয় তা ৫৭০ ভরির কাছাকাছি ছিল। এবার যেটুকু না পরালে নয়, সেটুকুই পরানো হয়েছে বলে জানালেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি ও মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়।
প্রথম থেকে প্রশ্ন উঠছিল, বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রতর কালীপুজো কি আগের মতোই আড়ম্বরপূর্ণ হবে? নাকি অনুব্রতর অনুপস্থিতি প্রভাব ফেলবে পুজোতে? সোমবার তার উত্তরও পাওয়া গেল। প্রতি বছর অনুব্রত নিজে কালীকে গয়না পরাতেন। সেই গয়না পরানো দেখতে মানুষের ভিড় জমে যেত। চারপাশ আলোয় আলোকিত হয়ে থাকত। এবার সেই জায়গা অনেকটাই ফাঁকা।
অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো বীরভূমে অন্যান্য কালীপুজোর মতোই বিখ্যাত। মায়ের সাজ, আয়োজন, জাঁকজমক সবই নজরকাড়া ছিল গত বছরও। পুজোতে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর দলীয় কর্মী, সমর্থক। ছিলেন সাধারণ মানুষও। তবে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর এবার ভিড় কম। এলাকার লোকজনই বলছেন, অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতির প্রভাব পড়েছে তাঁর মাতৃ আরাধনায়ও।
প্রতি বছরই বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পুজো করে এসেছেন অনুব্রত। কোভিড পরিস্থিতিতে আয়োজন সংক্ষিপ্ত হলেও মায়ের গায়ে ৫৭০ ভরির সোনা পরানো হয়েছিল। শোনা যায়, প্রথম দিকে ১৮০ ভরি সোনার গয়না পরানো হত এই কালী প্রতিমাকে। বছর বছর গয়না বেড়েছে। ২৬০ ভরি থেকে ৩৫০ ভরি হয়ে তা ৫০০ ভরিও পার করে যায়। তবে এবার গরু পাচার মামলায় আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এ বছর প্রতিমার সাজও তাই অনেকটাই কম।
অনুব্রতর পুজো নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে পুজোটা আমরা এখানে পার্টি অফিস করার পর থেকে শুরু হয়েছে, সেটা কেষ্ট কালী হিসাবে পরিচিত হয়েছে। কারণ তিনি দায়িত্ব নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে পুরো বিষয়টাই সামলাতেন। রাজগ্রাম থেকে শুরু থেকে মুরারই, খয়রাশোল, নানুর, লাভপুর এমনকী বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা থেকেও মানুষ আসতেন এই পুজো দেখতে। তাঁর অনুপস্থিতিতে আনন্দ তো নেই, প্রাণটাও নেই। মায়ের পুজো, সময় তো থেমে থাকবে না। তাই যতটুকু নিষ্ঠাভরে করা যায় ততটাই করছি। সারা বীরভূম জেলা থেকে প্রায় ১৫০ জন জেলা কমিটির সদস্য আছে তাদের থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে দেড় লক্ষ টাকার একটা এস্টিমেট করে পুজো হচ্ছে। অলঙ্কার, সাজানো সবই তো আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। এবার আমাদের মন ভাল নেই। তাই যেটুকু না করলেই নয়, সেটুকুই করা হচ্ছে।”