Visva Bharati: কেন চন্দ্রনাথকে বরখাস্ত? বিশ্বভারতীর চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: এর আগে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
বীরভূম: বরখাস্ত আধিকারিককে কাজ ফিরিয়ে দিতে হবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিশ্বভারতীর সাংবাদিকতা বিভাগের ফিল্ড অফিসার চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই বরখাস্ত ‘বেআইনি’, পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার এই মামলার শুনানিপর্বে আদালত নির্দেশ দেয়, চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে।
এর আগে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায়ই বহাল রাখে। চন্দ্রনাথবাবু এই রায়ের পর জানান, আদালতের এই রায় সত্যের পক্ষে গেল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনায় কোনওভাবেই বিশ্বভারতীর গরিমাকে ব্যাহত করে না। বরং বিশ্বভারতীর একাংশের অপচেষ্টা সামনে তুলে আনল।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় না মানায়, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফের ডিভিশন বেঞ্চে যান চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আদালতের প্রশ্ন ছিল, একজন কর্মী তিনি স্থায়ী হোন বা অস্থায়ী, ২০ বছর কাজ করার পর তাঁকে কীভাবে বরখাস্ত করা যেতে পারে? এটা কি যা খুশি তাই? করোনা পরিস্থিতির কারণে কাউকে কাজে আসতে হবে না বলা যায় নাকি? এদিন সকাল ১০টায় আদালত বিশ্বভারতীর আবেদন খারিজ করে দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।