Anubrata Mondal: কেষ্ট দিল্লি গেলে ‘গুড় বাতাসা’, ‘চড়াম চড়াম’ দাওয়াই কে দেবেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে চাপ বাড়বে না তো দলে?
Birbhum News: অনুব্রত রাজ্য়ের বাইরে গেলে কর্মী সমর্থকদের মনে তার প্রভাব যে পড়বে, মানছেন জেলার নেতারাও।
সেই ‘বীর-বাঘ’ এবার দিল্লিযাত্রী। তাও আবার পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক মাস আগে। জেলা সভাপতি থাকবেন জেলা থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে। তাহলে বীরভূমে সংগঠন সামলাবেন কে? তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “তিনি যেভাবে দল তৈরি করে গিয়েছেন, সংগঠন তৈরি করে গিয়েছেন, সেভাবে দল দলের মতো কাজ করবে।” তবে অনুব্রত দূরে গেলে যে সংগঠনে তার প্রভাব পড়বেই তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন মলয় মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “উনি কাছে থাকলে যেভাবে মানুষ ১৪ দিন পরে গিয়েও একবার তাঁর দেখা পেতেন, মানসিক শক্তি বাড়ত, শান্তি হতো, সেটা থেকে তাঁরা ধাক্কা পেলেন।” আসলে বীরভূমে তৃণমূল মানেই অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আদবকায়দা, বাচনভঙ্গী, সংগঠন চালানোর ‘দক্ষতা’ সবই তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে রাখে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গত পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূম যে বিরোধী শূন্য হয়েছিল, তার পুরো ক্রেডিটই দল তাঁকে দেয়। তাই তো হাজারো অভিযোগের পরও অটল থেকেছে তাঁর আসনখানি। তবে এবার চাপ বেড়েছে তাঁর। সাড়ে তিন মাস বীরভূম ছাড়া তিনি। তবু তাঁর অনুগামীরা জানতেন, ‘দাদা’ পাশের জেলাতেই তো রয়েছেন। কিন্তু যদি অনুব্রতকে দিল্লি যেতে হয়, তবে তো ‘দাদা’কে নাগালে পাওয়া এক কথায় অসম্ভব।
তবে অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা নিয়ে খোঁচা দেওয়া শুরু বিজেপির। বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, “বীরভূমের গরু চোর, এক সময় বলেছিলেন খেলা হবে। সেই খেলাই হচ্ছে। ইডি সে খেলা শুরু করেছে। আমরা পঞ্চায়েতে খেলা শুরু করব।”
অন্যদিকে কংগ্রেস জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, “এখন কেষ্টদার বাঁচার একটাই রাস্তা বলে মনে হচ্ছে, রাতারাতি ওনাকে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি হতে হবে। আমার মনে হয় সেই পরিকল্পনাও উনি করবেন।” যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কথায়, “এভাবে চুরি চুরি চুপকে চুপকে খেলা খেলে বেশি দূর এগোনো যাবে না।”