Anubrata Mondal: বীরভূমের রাজনীতি থেকে সত্যিই মুছে যাচ্ছেন অনুব্রত? বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হল, বললেন দলের বিধায়কই
Birbhum News: অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর দলের তরফে বীরভূম জেলার দায়িত্ব চারজনকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর দলের অন্দরে দলাদলিও বেড়েছে বলেই অভিযোগ।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর দলের তরফে বীরভূম জেলার দায়িত্ব চারজনকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর দলের অন্দরে দলাদলিও বেড়েছে বলেই অভিযোগ। ‘দিদির দূত’ হিসাবে এই জেলাতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী রায়, বিকাশ রায় চৌধুরী বা অসিত মালের মতো নেতারা। অনুব্রত জেলায় সংগঠনকে বেঁধে রেখেছিলেন। এখন দলীয় নেতার বিরুদ্ধে একে অপরে প্রকাশ্যে ক্ষোভও ঢেলে দেন।
তবে অনুব্রতর ‘সাংগঠনিক দক্ষতা’ যতই হোক না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দলে বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে বলেই সূত্রের দাবি। দলের অন্দরের এই ক্ষোভ সামাল দিতে মরিয়া জেলা নেতৃত্ব। এসবের মধ্যেই মাসের শেষে মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন জেলায়। তার আগে শোনা যাচ্ছে, অনুব্রতকে প্রচার থেকে ‘ভ্যানিশ’ করতে চাইছে জেলা নেতৃত্ব।
যদিও এ কথা মানতে চাননি সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি। লোকে অপপ্রচার করছে।” যদিও জেলা বিজেপির তরফে সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বীরভূমের বাঘকে প্রত্যাখ্যান করতে চাইছে তৃণমূল। দল বুঝতে পারছে এদের সঙ্গে রাখলে আখেরে বিপদই হবে।”
তবে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা আমি একেবারেই বলতে পারব না। এটা জেলা নেতৃত্ব স্থানীয় নেতৃত্বের বিষয়। এ ব্যাপারে আমার কোনও মন্তব্য নেই। অনুব্রত মণ্ডল দলের একজন ডাকসাইটে নেতা ছিলেন বা আছেন। তিনি ঘটনাচক্রে বন্দি। যদি দোষী হন, প্রমাণ হবে। তিনি লড়ছেন। এ বিষয়ে আলাদা করে কোনও বক্তব্য নেই।”