‘তৃণমূলের মুখোশ মমতা, আসলে দল চালায় ভাইপো’, বিস্ফোরক দাবি কৈলাসের

সোমবার বিকেলে পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ রায়পুরে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের পক্ষে সভা থেকে মমতা ও অভিষেককে একযোগে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়

'তৃণমূলের মুখোশ মমতা, আসলে দল চালায় ভাইপো', বিস্ফোরক দাবি কৈলাসের
'তৃণমূলের মুখোশ মমতা, আসলে দল চালায় ভাইপো', বিস্ফোরক দাবি কৈলাসের
Follow Us:
| Updated on: Dec 14, 2020 | 5:43 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘তৃণমূল দলের মুখোশ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যিনি সুতির শাড়ি, হাওয়াই চটি পরেন। কিন্তু এই দলটি আসলে চালায় ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার ও সোনার স্মার্গলিং-‌সহ সিন্ডিকেট চালায় কে?’ উত্তরে কর্মী সমর্থকরা জানান, ‘ভাইপো’।‌ সোমবার বিকেলে পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ রায়পুরে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের পক্ষে সভা থেকে মমতা ও অভিষেককে একযোগে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijaybargiya)। এদিনের সভায় কৈলাস ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)।

এদিনের সভা থেকে কৈলাস বলেন, ‘‌আমাদের দলের সভাপতি জেপি নাড্ডাকে পাথর মেরে স্বাগত জানিয়েছে মমতা ও ভাইপোর লোকজন। কিন্তু এটা বাংলার সংস্কৃতি না। মানুষকে ভালবাসা বাংলার সংস্কৃতি। শ্যামাপ্রসাদ, রবীন্দ্রনাথের বাংলা আজ দুর্বৃত্তদের বাংলায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু এবার পরিবর্তন হবে। সোনার বাংলা গড়ে তুলব আমরা।’‌

আমফান, লকডাউনে রেশন ও ক্ষতিপূরণের টাকা দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে কৈলাস বলেন, ‘‌চাল চোর ও ত্রিপল চোর সরকার চলছে। কেন্দ্র টাকা দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন। সব রেশন ও টাকা তৃণমূল নেতারা ভাগ করে নিয়েছে। সরকার পরিবর্তন হলে আপনারা সব পাবেন। আপনারা এবার পরিবর্তন করুন।’‌

আরও পড়ুন: “সাঁওতাল থেকে ও ব্রাহ্মণ হয়ে গিয়েছে”, জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের ‘নায়ক’ বলায় মুর্মুকে তোপ ছত্রধরের

মুকুল রায় সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, ‘আমিও একসময় তৃণমূল করতাম। এখানে অনেকবার এসেছি তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইতে। চেয়েছিলাম শিব গড়তে। কিন্ত বাঁদর গড়েছি। এই সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কোনটা রাখতে পারেনি। এখানে অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ আসেনি। আমাদের রাজ্যে বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে বেশি। মমতাকে নিয়ে বললে আবার মামলা করে দেবে। মামলা দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখতে পারবেন না। কারণ মানুষ পরিবর্তনের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছি। যুবকদের চাকরি দিলে তা নাম, ঠিকানা দিয়ে প্রকাশ করুন।’‌ সভা শেষে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে শতাধিক বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন কৈলাস, মুকুলরা।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার