‘আমার ভাষণ শুনিয়ে সভায় লোক আনতেন, এই ভিডিয়োগুলো ওঁর দেখা উচিত’, সায়ন্তনের নিশানায় তৃণমূল যুব সভাপতি

গেরুয়া শিবিরের 'চাণক্য' মুকুল রায়ের সঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের ইদানিং 'ঘনিষ্ঠতা' নিয়েও মুখ খুললেন সায়ন্তন। এদিন, তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যম একটা খবরকে রঙ চড়িয়ে দেখাচ্ছে। কেউ দল ছেড়ে কোথাও যাবে না। আমাদের বিধায়করা কর্মীরা সকলে মিলে জোট বেঁধেই কাজ করবেন।"

'আমার ভাষণ শুনিয়ে সভায় লোক আনতেন, এই ভিডিয়োগুলো ওঁর দেখা উচিত', সায়ন্তনের নিশানায় তৃণমূল যুব সভাপতি
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2021 | 7:01 PM

জলপাইগুড়ি: ভোটপর্ব মিটলেও জারি সন্ত্রাস। শাসক শিবিরের রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপির (BJP) দলীয় কর্মী সমর্থকেরা এমন অভিযোগ বারবার করে আসছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি, উত্তরবঙ্গে ‘আক্রান্ত’ কর্মীদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। শুক্রবার, জলপাইগুড়ির বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসে সরাসরি তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhisek Banerjee) নিশানা করলেন সায়ন্তন।

এদিন, বিজেপি (BJP) নেতা অভিষেককে নিশানা করে বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, এখন নাকি বিজেপি নেতাদের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। আমি কোথায় আছি তবে? ওঁর এই ভিডিয়োগুলো দেখা উচিত। ওঁ তো বারবার ই বলছেন আমাদের নাকি দেখাই যাচ্ছে না। তিনদিন ধরে মিডিয়া তো আমাকেই দেখাচ্ছে। আমি তো মিডিয়ার কাছে যাইনি।” উল্লেখ্য, ইয়াস কবলিত পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা সফরে গিয়ে রীতিমতো নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “নির্বাচনের পর বিজেপির সব নেতা কর্মী বিধায়করা কোথায় গেল!” এই প্রসঙ্গেই বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বলেন, “উনি তো একদিন সফরে এসে মনে করছেন বিজেপি কর্মীরা কিছুই করেন না। নিজে আমার ভাষণ শুনিয়ে সভায় লোক টানতেন। আগে আমার ভাষণ শুনে লোকে সভায় আসত। তারপর উনি সেই সভায় বক্তৃতা দিতেন। এখন আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর সময়, কিন্তু এর মধ্য়েও ওঁদের রাজনীতি করতে হবে।” ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সম্পাদকের আরও অভিযোগ, শাসক দলের সন্ত্রাসের জন্যই দলের কর্মীরা ঘরছাড়া। তাঁদের সকলকে বাড়ি ফেরাতে হবে।

গেরুয়া শিবিরের ‘চাণক্য’ মুকুল রায়ের (Mukul Roy) সঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের ইদানিং ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়েও মুখ খুললেন সায়ন্তন। এদিন, তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যম একটা খবরকে রঙ চড়িয়ে দেখাচ্ছে। কেউ দল ছেড়ে কোথাও যাবে না। আমাদের বিধায়করা কর্মীরা সকলে মিলে জোট বেঁধেই কাজ করবেন। এখন দলাদলির নয়, কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সময়।” উল্লেখ্য, অভিষেককেই প্রথম আক্রমণ নয়, কিছুদিন আগে তুফানগঞ্জে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শাড়ি পরা মুসোলিনি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য় সম্পাদক সায়ন্তন বসু। যদিও, বিজেপির নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘বাংলায় গণহত্যা দেখলে মনে হয়, রাস্তায় শাড়ি পরা মুসোলিনি দৌড়াদৌড়ি করছেন’, নিশানায় মমতা, তোপ সায়ন্তনের