প্রার্থী হিসেবে ‘ডাক্তারকে’ না-পসন্দ রাজেশ-তাপসের পরিবারের, বিজেপির দলীয় বিক্ষোভে উত্তপ্ত ইসলামপুর

অন্যদিকে, রায়গঞ্জ থেকে টিকিট না পাওয়ায় দলের নিচুতলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন খোদ বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী।

প্রার্থী হিসেবে ‘ডাক্তারকে’ না-পসন্দ রাজেশ-তাপসের পরিবারের, বিজেপির দলীয় বিক্ষোভে উত্তপ্ত ইসলামপুর
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 20, 2021 | 8:07 PM

উত্তর দিনাজপুর: প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভে জেরবার বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব। এবার সেই বিক্ষোভে সামিল রাজেশ-তাপসের পরিবারও। বৃহস্পতিবার ইসলামপুরে বিজেপির তরফে ডাঃ সৌম্যরূপ মণ্ডলকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকেরা। ভাঙচুর করা হয় বিজেপির দলীয় কার্যালয়। এমনকী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর (Debashree Chaudhuri) ছবিতেও কালি লেপে দেওয়া হয়।

মৃত তাপস বর্মন এর মা মঞ্জু বর্মন বলেন, “প্রার্থী ঘোষণা হল, কিন্তু, দলীয় কর্মীর মতামত নেওয়া হল না। তাই সৌম্যরূপকে মানা আমাদের পক্ষে অসম্ভব।” এদিন, মঞ্জু আরও জানান, তাপস মারা যাওয়ার পর সৌম্যরূপ তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াননি। যিনি ডাক্তারিতে সারাদিন ব্যস্ত থাকেন তিনি মানুষের কাজ করবেন কী করে এই প্রশ্নও তোলেন মঞ্জু।

অন্যদিকে রাজেশ সরকারের বাবা নীল কমল সরকার বলেন, ‘রাজেশ তাপসের স্মৃতি সমাধি করার সময় যখন বাধার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় দেবশ্রী চৌধুরী বা সৌম্যরূপ মণ্ডল কাউকেই পাওয়া যায়নি।” প্রার্থী হওয়ার পরে মৃত রাজেশ তাপসের পরিবারের কাছে দেখা করতে আসলে দাড়িভিট কাণ্ডে মৃত দুই ছাত্রের পরিবার প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন নীলকমল সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের দাঁড়িভিট উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এলাকার বাসিন্দা এবং দাঁড়িভিট উচ্চবিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের। এরপর কেটে যায় প্রায় আড়াই বছর। সে সময় পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবীতে সরব হন মৃতদের পরিবার এমনকি বিজেপি নেতৃত্বও।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভার বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িভিট গ্রামে গিয়ে রাজেশ তাপসের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন বর্তমান রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর প্রোটোকলের দোহাই দিয়ে আর তাপস-রাজেশ মৃত্যু তদন্তে মাথা গলাননি রায়গঞ্জের সাংসদ। সেই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃত দুই ছাত্রের পরিবার।

অন্যদিকে, রায়গঞ্জ থেকে টিকিট না পাওয়ায় দলের নিচুতলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন খোদ বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। পাশাপাশি ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, করনদিঘি, চাকুলিয়া ও ইসলামপুর প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক।

উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে দলত্যাগী তৃণমূলিদের (TMC) প্রার্থী করায় রাগে ফেটে পড়েছেন আদি বিজেপি নেতা – কর্মীরা। যদিও, এই ঘটনায় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে অনু্ব্রতর গ্রেফতারি চাই’, প্রশাসনের দুয়ারে যুব মোর্চা