Canning Murder: ২ জনকে গুলি করে, ১ জনকে কুপিয়ে খুন, ক্যানিংকাণ্ডে পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
Canning Murder: শুক্রবার ঘটনাস্থলের পাশে মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। পুলিশ বোমা উদ্ধারের পর আপাতত বালতির জলে ফেলে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্যানিংয়ে খুনের ২৪ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক টিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন তাঁরা। এদিকে, মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি এবং ভূতনাথ প্রামাণিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঝন্টু হালদার নামে আরেক ব্যক্তিকে ধারল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কারণে মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ঘটনাস্থলের পাশে মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। পুলিশ বোমা উদ্ধারের পর আপাতত বালতির জলে ফেলে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ক্যানিংয়ে খুন হওয়া মৃত তিন জনের দেহ শুক্রবার গ্রামে আনা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিজনেরা।
বৃহস্পতিবার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের একেবারে দক্ষিণ দিক থেকে তৃণমূলের সদস্য স্বপন মাঝি ও তাঁর দুই সঙ্গী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামানিকের দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের পর তাঁদের দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে আসা হয় গ্রামে। মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিজনেরা।
পুলিশ আধিকারিকদের সামনে দেখতে পেয়েই তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়ার সঙ্গে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাঁদের অভিযোগ এর আগেও একাধিকবার খুনের চেষ্টা করেছিলেন রফিকুল সর্দার। তখন স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশকে জানানো হয়েছিল পরিবারের তরফে। তারপরেও তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ভাবেনি পুলিশ। যার ফলস্বরূপ নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে স্বপন মাঝি ও তাঁর সঙ্গীদেরকে।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার ও তাঁর সঙ্গীদের কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। এলাকায় তিন জন খুনের ঘটনায় রীতিমতো স্তব্ধ গ্রাম। শুক্রবার সকাল থেকেও রাস্তাঘাট ফাঁকা।