Child Fever: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার সবচেয়ে বেশি প্রভাব একরত্তিদের উপর, বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যা ছাড়াল ১০০
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তো সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি শিশুর সংখ্যা শতাধিক। আউটডোরে শিশু রোগীর সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। যা উদ্বেগের।
বর্ধমান: আবহাওয়া খামখেয়ালিপনায় ও ঠাণ্ডা-গরমের ওঠানামা চলছে। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিশুদের উপর। হাসপাতালগুলিতে শিশু রোগীর ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। গত দু’সপ্তাহ ধরেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের জ্বর সর্দি নিয়ে আনাগোনা বাড়ছে। প্রত্যেকেরই একই উপসর্গ, জ্বর, সর্দি-কাশি। পরিস্থিতি এমন যে, ভর্তির জন্য বেড পাওয়াও সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তো সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি শিশুর সংখ্যা শতাধিক। তবে কেন এই পরিস্থিতি, নতুন কোনও ভাইরাসের দাপট কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। আক্রান্ত শিশুদের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের শিশু আউটডোরে ২০০-৩০০ করে অসুস্থ শিশু আসে। গত দু’সপ্তাহে এই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৬০০ ছুঁয়েছে। আউটডোরে লাইন বাড়ছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে হঠাৎ করে শিশুদের জ্বর ও ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। জ্বর, সর্দির সমস্যাই হচ্ছে মূলত। অনেক শিশুর বুকে সর্দি বসে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হচ্ছে। ৬ মাসের বাচ্চা থেকে কিশোর- সবার মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
আউটডোরে যেমন ভিড় উপছে পড়ছে, তেমনই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণ। এমনিতে হাসপাতালে গড়ে যেখানে ৫০টি করে শিশু ভর্তি থাকত, এবার সেখানে ভর্তিৃর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমস্যা বাড়বে বলে উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, “আমাদের নিজস্ব ‘ভি আর ডি এল’ তে এই রোগের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। রোগের কারণ সঠিকভাবে জানা গেলে চিকিৎসাও সহজ হবে। পাশাপাশি রোগ নিয়ন্ত্রণও দ্রুত হবে।”
আপাতত বুকে সর্দি বসে গিয়ে বাড়াবাড়ি আকার নেওয়ায় শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে এবং রোগ সারাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ইনহেলার বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সবমিলিয়ে, বিষয়টি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।