Debangshu Bhattacherjee: ‘সিবিআই-ইডি-র অত্যাচারে তাপস পাল মারাই গেলেন’, পার্থর জামিন খারিজে মন্তব্য দেবাংশুর

Debangshu Bhattacherjee: গতকাল পূর্বস্থলী থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন দেবাংশু। তাঁর গ্রেফতারির স্মারকলিপিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছিলেন বলে জানা যায়

Debangshu Bhattacherjee: 'সিবিআই-ইডি-র অত্যাচারে তাপস পাল মারাই গেলেন', পার্থর জামিন খারিজে মন্তব্য দেবাংশুর
পূর্বস্থলীতে দেবাংশু ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2023 | 7:01 AM

পূর্বস্থলী: মঙ্গলবার পূর্বস্থলীতে তৃণমূলের সভা ছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। সেই সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেখা যায় তাঁদের।

গতকাল পূর্বস্থলী থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন দেবাংশু। তাঁর গ্রেফতারির স্মারকলিপিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছিলেন বলে জানা যায়। সেই প্রসঙ্গে এ দিন মুখ খোলেন দেবাংশু। বলেন, “স্বাভাবিক ভাবে তিনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়)মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন। তাই নাম রয়েছে।কিন্তু প্ৰশ্ন হচ্ছে প্রভাবশালী তত্ত্বে দিয়ে অনেককেই আটকে রাখার চেষ্ঠা হয়েছে। তার মধ্যে সুলতান আহমেদ ও তাপস পাল ছিলেন। তাঁরা তো মারাই গেলেন অত্যাচারে। কিন্তু আমরা জানতেই পারলাম না তাপস পাল, সুলতান আহমেদরা দোষী কি দোষী নন। আমরা চাই তদন্তের নামে কাউকে আটক রাখার পক্ষে আমরা নই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল সরিয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বলতে চাই আমার আমাদের কাজ করি।ইডি তাদের কাজ করুক।”

এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইডি বলেছে ইডির মতো করে। স্বাভাবিকভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন তৃণমূলে ছিলেন। বিরোধী দলনেতাও ছিলেন। দলের প্রধান মুখপত্র ছিলেন। তিনি হেভিওয়েট ছিলেন। উনি শিক্ষার ওজন এতটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন যে জেলে চলে যেতে হয়েছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা এই কাজ করেননি।”

উল্লখ্য,মঙ্গলবার টানটান নাটকীয়তায় ভরা এজলাসে শেষ হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন খারিজ করেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। আরও একবার প্রভাবশালী তত্ত্বের ভিত্তিতে খারিজ হয় পার্থর জামিন।

এ দিন, বিচারক নির্দেশনামায় জানান, অভিযুক্তের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। কেস ডায়েরিতে যে ধরনের তথ্য রয়েছে তাতে যথেষ্ট তথ্য আছে। গত ৬ মাসের তদন্তে অভিযুক্তের ভূমিকা উঠে এসেছে এবং কেস ডায়েরিতে থাকা বয়ান থেকে তাঁর (পার্থ) এই স্ক্যামের সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে অভিযুক্ত একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে তদন্ত প্রভাবিত করা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে বিবেচনা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ করা হল।

আজ সকাল থেকেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে চলছিল পার্থ-র মামলার শুনানি। জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেন। বিচারকের সামনে বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথম থেকেই প্রভাবশালী। গ্রেফতারের পরও তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নিজের অ্যারেস্ট মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম দিয়েছিলেন। কোনটা উদ্যেশ্যপ্রণোদিত বোঝাই যাচ্ছে।”