Coochbehar: কোচবিহারের হোমের ছোট্ট কলির নতুন ঠিকানা আমেরিকা
Coochbehar: সরকারি নিয়ম মেনে কোচবিহারের ওই হোমে বেড়ে ওঠা কলিকে দত্তক নিলেন ওয়াশিংটনের বাসিন্দা জেমিখা জোসেস এজিস এবং সারা ইনজ এজিস। দম্পতি উভয়েই পেশায় চিকিৎসক। অনেকদিন আগেই অনলাইনে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা।
কোচবিহার: কোচবিহারের (Coochbehar) এক হোমে একটু একটু করে বড় হচ্ছিল ছোট্ট কলি। তবে এবার তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরল। ছোট্ট অনাথ শিশুর এবার নতুন ঠিকানা হচ্ছে আমেরিকায় (America)। মার্কিন মুলুকের এক দম্পতি তাঁকে দত্তক নিল। সরকারি নিয়ম মেনে কোচবিহারের ওই হোমে বেড়ে ওঠা কলিকে দত্তক নিলেন ওয়াশিংটনের বাসিন্দা জেমিখা জোসেস এজিস এবং সারা ইনজ এজিস। দম্পতি উভয়েই পেশায় চিকিৎসক। অনেকদিন আগেই অনলাইনে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে থাকার সেন্ট্রাল এড অপশন রিসোর্স অথরিটির মাধ্যমে তারা অনলাইনে কলিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তারপরেই শুরু হয় প্রক্রিয়া। শেষমেষ দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর সোমবার মার্কিন দম্পত্তি নিজেদের কাছে পেলেন ছোট্ট কলিকে। এজিস দম্পতির সঙ্গে এবার কলি যাবে মার্কিন মুলুকে। অনাথ কলি এবার খুঁজে পেল তাঁর নতুন বাবা-মাকে। এবার পাকাপাকিভাবে মার্কিন মুলুকে ঠিকানা হতে চলেছে কলির। মার্কিন চিকিৎসক দম্পতি সোমবার কোচবিহারে এসে ছোট্ট কলিকে কোলে তুলে নিলেন। গোটা কোচবিহারের এই ঘটনার সাক্ষী থাকল। কোচবিহার জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক জানান, দত্তক গ্রহণ প্রক্রিয়া ১১ অনুযায়ী সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে কলিকে আমেরিকার দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হল। অনলাইনের মাধ্যমে তাঁরা আবেদন করেছিলেন। আবেদনের পরে তাঁদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা শাসক রবি রঞ্জনের দফতরে ছোট্ট কলিতে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিদেশি দম্পতির দত্তক নেওয়ার ঘটনা অবশ্য কোচবিহার জেলায় নতুন নয়। এর আগে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই ইতালির এক দম্পতি দত্তক নিয়েছিল আর এক অনাথ শিশুকে। সেই শিশুও এখন ভীষণ ভালভাবে দিন কাটাচ্ছে। বেড়ে উঠছে। এদিন কলিকে কাছে পেয়েও খুশি দম্পতি জানান, কলিকে তারা নিজের সন্তানের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন বলে জানালেন তাঁরা।