Abhishek Banerjee: কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা… একটাই বঙ্গ, নাম পশ্চিমবঙ্গ: অভিষেক
Abhishek in Coochbehar: অভিষেকের বক্তব্য, 'উত্তরবঙ্গ-গৌঢ়বঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ-রাঢ়বঙ্গ বলে কিছু হয় না। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা, একটাই বঙ্গ। তার নাম পশ্চিমবঙ্গ।'
মাথাভাঙা: শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙা (TMC Mathabhanga Rally) থেকে পৃথক উত্তরবঙ্গের জিগির প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee)। কোচবিহারের সভায় মানুষের ভিড় দেখে অভিভূত অভিষেক বলেন, ‘মাথাভাঙা থেকে মন্দিরবাজার, তুফানগঞ্জ থেকে তারকেশ্বর, শিতলকুচি-সিতাই থেকে সাগর-নামখানা… অখণ্ড বাংলার পক্ষে মানুষের জনসমর্থনের একটি দৃষ্টান্ত এই সমাবেশ।’ তাঁর বক্তব্য, ‘উত্তরবঙ্গ-গৌঢ়বঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ-রাঢ়বঙ্গ বলে কিছু হয় না। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, দার্জিলিং থেকে দেগঙ্গা, একটাই বঙ্গ। তার নাম পশ্চিমবঙ্গ।’
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ ভাগের বিরোধিতা করে এর আগেও সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। গতবছরের সেপ্টেম্বরে জলপাইগুড়িতে সভা করতে গিয়েও একই ইস্য়ুতে সরব হয়েছিলেন তিনি। উঠে এসেছিল ‘অখণ্ড বাংলার’ কথা। এবার কোচবিহারের মাথাভাঙা থেকে ফের একবার সেই ইস্যুতেই সরব হলেন তিনি। উল্লেখ্য, অতীতে বিজেপি শিবিরের একাংশ বার বার সরব হয়েছে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার দাবি নিয়ে। উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনার অভিযোগে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেও, বাংলাকে ভাগাভাগির বিষয়টিকে সমর্থন করেননি।
যদিও এদিন অভিষেকের এদিনের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। উত্তরবঙ্গের মানুষের বঞ্চনার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন তিনি। অভিষেকের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক নেতার এক অদূরদর্শী বক্তব্যের প্রভাব আরও দীর্ঘায়িত হবে। ওনার রাজনীতি অপরিপক্কতার রাজনীতি। এর আগে এসে বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গ বলে কিছু নেই। উত্তরবঙ্গের মানুষের উত্তর না দিতে পেরে এই কথা বলেছিলেন।’
অভিষেকের বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণও। তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভয় পেয়েছেন। উনি কতজনকে ঘরে বন্ধ করে রাখবেন? সারা উত্তরবঙ্গের মানুষ চাইছে, কতজনকে ঘরে আটকাতে পারবেন? মানুষকে জিজ্ঞেস করুন, উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হলে ভাল হবে নাকি খারাপ হবে? আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর ধরে বঞ্চনা দেখেছি। তাই তারা বাংলা থেকে আলাদা হতে চাইছে।’