CM Mamata Banerjee: দুষ্টুমি করলে চড় মারুন, কোচবিহারে গিয়ে অধিকার দিলেন মমতা
CM Mamata Banerjee: সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ চান্দামারির সভামঞ্চে আসেন মমতা। এখান থেকেই শুরু হয়ে যায় পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রথম নির্বাচনী প্রচার।
কোচবিহার: সব কেন্দ্রের প্রার্থীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনী প্রচারে প্রায়শই এমন কথা শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সুপ্রিমোর মুখে। পাশাপাশি, তাঁর মুখে আর একটি কথা শোনা যেত, যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে, ক্ষমা করে দেবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই সুর শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। কোচবিহারের চান্দামারিতে তাঁর প্রথম নির্বাচনী প্রচারে এসে অকপটে ভুল স্বীকার করে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
এ দিন মমতা বলেন, “যদি আমাদের কেউ দুঃখ দিয়ে থাকে তাহলে আমি তাঁদের হয়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি। ভুল বুঝবেন না।” পাশাপাশি ‘দুষ্টু’ কর্মীদের ভুল শোধরাতে দিলেন চড় মারার নিদানও। প্রসঙ্গত, ভোটমুখী বাংলায় লাগাতার অশান্তির খবর এসেছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মনোনয়ন পর্বে। বহু জেলায় বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘাসফুল শিবিরের (Trinamool Congress) কর্মীদের বিরুদ্ধে। উঠেছে বোমাবাজি, ভয় দেখানোর অভিযোগও। ভোট ঘোষণার পর থেকে বাংলায় এখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৯ জন কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। এই আবহে মমতার ক্ষমা চাওয়া বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে এখানেই না থেমে ‘দুষ্ট’ কর্মীদের শায়েস্তা করতে মমতার নিদান, “কেউ দুষ্টুমি করলে দুটো চড় মারবেন। এই অধিকার আমি আপনাদের দিয়ে গেলাম।” কোচবিহারের সভা থেকে সমেবত জনতার উদ্দেশে এদিন এক কথাই বলেন তিনি।
তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “যিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী, তিনিই যখন মানুষকে আইন হাতে তুলে নিতে বলছেন, তখন সেই রাজ্যে কি আইনের শাসন থাকে? হতাশা ও আতঙ্ক থেকে মুখ্যমন্ত্রী একথা বলছেন।” তিনি আরও বলেন, তৃণমূল একটা অনিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক দল। কে কার কথা শোনে। গলায় গামছা দিয়েও যদি কোনও নেতা অন্যদের দরজায় দরজায় গিয়ে একথা বলেন, কেউ শুনবে না। কারণ, পঞ্চায়েত দখল করে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা পাঁচ বছরের জন্য আত্মসাৎ করতে চায় তারা।