Cooch Behar : ‘উনিশে কাকে ভোট দিয়েছিলেন’, খারাপ-রাস্তার অভিযোগ শুনে প্রশ্ন উদয়নের

Cooch Behar : গ্রামের রাস্তা না হলে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) বয়কট। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ কে সামনে পেয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শীতলকুচি ব্লকের বড় কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় সুশীলা বর্মণ।

Cooch Behar : 'উনিশে কাকে ভোট দিয়েছিলেন', খারাপ-রাস্তার অভিযোগ শুনে প্রশ্ন উদয়নের
বিক্ষোভের মুখে উদয়ন গুহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 7:51 PM

কোচবিহার : গ্রামের রাস্তা খুব খারাপ। রাস্তার কারণে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে যায়। তাই রাস্তা না পেলে পঞ্চায়েতে ভোট (Panchayat Election) নয়। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন শীতলকুচির এক মহিলা। ‘উনিশ সালে কাকে ভোট দিয়েছিলেন?’ অভিযোগ শুনেই পাল্টা ওই মহিলাকে এ প্রশ্ন করতে দেখা যায় উদয়ন গুহকে। যা নিয়ে ব্যাপক চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে ভোট বয়কটের কথা শুনে মন্ত্রী সপাট উত্তর, “ভোট বয়কট করে কী আর কোনও সমস্যার সমাধান হয়। ক্ষোভের কারণে এগুলো মানুষ বলে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মানুষ ভোট দেন। এই অধিকার কেউ হাতছাড়া করতে চান না।” 

এদিন দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir surkasha kabach) কর্মসূচিতে অংশ নেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। কর্মসূচি শুরুর আগে কাশিয়া বাড়ি বিষ্ণু মন্দিরে পুজোও দেন। তারপরেই সেখানে সাময়িক আলোচনা সেরে বেরিয়ে পড়েন এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে। দুটি স্কুল পরিক্রমা করে সেখানকার শিক্ষকদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। এদিকে মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন এলাকার বাসিন্দারা। তখনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দা সুশীলা বর্মন। তাঁর সাফ দাবি, তাঁদের এলাকায় রাস্তাঘাট হয়নি। ছেলে-মেয়েদের বিয়ের সম্বন্ধ আসলে ভেঙে যায় খারাপ রাস্তার কারণে। তাঁর দাবি অবিলম্বে এলাকার রাস্তাঘাটগুলির সারাই হোক। না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। একইসঙ্গে, আবাস যোজনায় নাম না থাকার কথাও এদিন মন্ত্রীকে জানান সুশীলা দেবী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও নিজের অভিযোগের কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেন, “আমার জন্ম থেকেই রাস্তার অবস্থা খারাপ। কাঁচা রাস্তা আজও পাকা হয়নি। রাস্তা ছাড়া আরও অনেক সমস্যা আছে। আমি তো এখনও ঘরই পাইনি।”

এই বিষয়ে উদয়ন গুহ বলেন, “রাস্তাঘাটের প্রয়োজন রয়েছে। সেটা এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। মানুষ আমাদের কাছে চাইছে, তাদের আস্থা আছে আমাদের উপর, আমরা বিষয়টি দেখছি।” একইসঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে তিনি আবার কাঠগড়ায় তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। বিগত কয়েক বছরে এলাকার মানুষের জন্য তিনি কী কাজ করেছেন, এই প্রশ্নও এদিন জনতার সামনে তুলতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, “এখানকার সাংসদের তো প্রতি বছরে ৮ কোটি টাকা করে পাওয়ার কথা। পাঁচ বছরে মোট ৪০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। সেই ৪০ কোটির ৪ টাকাও কোথাও খরচ করেছেন বলে তো মনে হচ্ছে না। এদিকে আমাদের বিধায়কের টাকায় মন্দির হয়েছে। কিন্তু, সাংসদের টাকা কোথায় খরচ হল? সেটাও আমরা খুঁজছি।”