ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে সিবিআই

Post Poll Violence: গত ২মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ৪ মে চিলাখানার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা  শাহিনুর রহমান নিখোঁজ হয়ে যান। ৫মে সকালে চিলাখানা হাইস্কুলের পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে শাহিনুরের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।

ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে সিবিআই
সিবিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 1:16 PM

কোচবিহার: ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে (Post Poll Violence) তৃণমূল নেতা (TMC) শাহিনুর রহমানের মৃ্ত্যু-মামলায় চিলখানায় এলেন সিবিআইয়ের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলেছে শাসক শিবির, সেই সংস্থার প্রতিনিধিরাই এ বার শাসক তৃণমূলের নিহত নেতৃত্বের বাড়ির দোরগোড়ায়। স্পষ্টতই, হিংসা তদন্তে যে কোনও রাজনৈতিক দলকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না সিবিআই এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

গত ২মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ৪ মে চিলাখানার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা  শাহিনুর রহমান নিখোঁজ হয়ে যান। ৫মে সকালে চিলাখানা হাইস্কুলের পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে শাহিনুরের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শাহিনুরকে খুনের অভিযোগে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয় বিজেপির দিকে। ঘটনায় বিজেপির তিন কর্মী রাম পাল, চিরঞ্জিত দাস ও বাসুদেব পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনমাস জেল হেফাজতের পর হাইকোর্টের জামিন পায় অভিযুক্তরা। এরপর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের উপর ন্য়স্ত হওয়ার পর তত্‍পর হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

রাজ্য়ে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) সুপারিশকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু, সেই মামলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। তারপর থেকেই বারবার নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বিঁধেছে  রাজ্য সরকার। সম্প্রতি, জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক নিহত বিজেপি সমর্থক শোভারানি  মণ্ডলের মৃত্যু-মামলায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে মিথ্যা মামলায় তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। পাশাপাশি, তিনি এও বলেন, “সিবিআই আর তদন্তকারী সংস্থা নেই। পোষা নেতা হয়ে গিয়েছে।” কিছুদিন আগেই সিবিআইকে ‘খাঁচাবন্দি তোতা পাখি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে ইতিমধ্য়েই দুদিনে দুটি চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদব খুনে ব্যারাকপুর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তারা। চার্জশিটে নাম রয়েছে টুনটুন চৌধুরী নামে একজনের। এ ছাড়াও আরও তিনজনের নাম রয়েছে সেখানে। তদন্ত ভার গ্রহণের দু’ সপ্তাহের মধ্যেই দু’টি চার্জশিট জমা দিল গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার নদিয়ার একটি খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা পড়ে। শুক্রবার ভাটপাড়া থানা এলাকার একটি খুনের ঘটনায় জমা পড়ল চার্জশিট।

শুক্রবার যেদিন ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করা হল, সেদিনই সিটের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা হল কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে। বিশেষ তদন্তকারী দল বা এই সিটে ১০ জন দক্ষ আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন। যারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা মূলত সিটের সদস্য। সেই দলের চেয়ারম্যান কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। আরও পড়ুন: ফিতে দিয়ে মেপে ৫০ মিটার দূরে বিক্ষোভ মঞ্চ, বিশ্বভারতীতে খুলল অচলাবস্থার ‘তালা’