Sitalkuchi Murder: ‘ছোট মেয়ে চার বছর প্রেম করে ধোকা দিয়ে চলে গেছিল…’, এতগুলো ‘খুনের’ পরও নির্লিপ্ত শীতলকুচির সেই প্রেমিক
Sitalkuchi Murder: বলল, "চার বছর প্রেম করে ধোকা দিয়ে চলে গেল। তাই মেরে দিলাম।"
শীতলকুচি: নাহ, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নেই, নেহাতই ব্যক্তিগত আক্রোশ, এক ব্যর্থ প্রেমিকের আক্রোশ! অন্তত প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই জানা গিয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় খুনের কথা কবুলও করল শীতলকুচি নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত যুবক। নাম বিভূতিভূষণ রায়। শীতলকুচিরই বাসিন্দা ওই যুবক। যার বিরুদ্ধে শুক্রবার কাকভোরে শীতলকুচির তৃণমূল নেতা ও তাঁর স্ত্রী ও এক মেয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিন জনকে খুনের কথা কবুল করার সময়েও একেবারেই নির্লিপ্ত থাকতে দেখা গিয়েছে বছর পঁচিশের ওই যুবককে। বলল, “চার বছর প্রেম করে ধোকা দিয়ে চলে গেল। তাই মেরে দিলাম।”
শুক্রবার ভোরে শীতলকুচির একটি ঘটনা রাজ্যকে নাড়িয়ে দেয়। ভোরে বাড়িতে ঢুকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা নিলীমা বর্মন, তাঁক স্বামী বিমলচন্দ্র বর্মন ও ছোট মেয়ে ইতি বর্মনকে বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। যেহেতু তাঁরা সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাই প্রথমে এই ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকারও সন্দেহ করেন অনেকে। কিন্তু যারা ওই বাড়ি থেকে এক যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করেছিলেন, সেই বিভূতিভূষণের কথায় গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায় প্রতিবেশী, প্রত্যক্ষদর্শীদের।
বিভূতিভূষণের সঙ্গে নিহত তৃণমূল নেতা ও নেত্রীর ছোট মেয়ে ইতির চার বছর ধরে প্রেম ছিল। প্রথমে সবটা ঠিকঠাকই চলছিল। পরে মেয়েটির পরিবার সব জেনে যায়। ছোটো মেয়ের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ান বাবা-মা। পরিবারের চাপে পড়ে মেয়েটিও সরে আসে। আর সেটাই বিভূতিভূষণের আক্রোশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
খুনের পরিকল্পনা আগে থেকেই করেছিল সে। জানা যাচ্ছে, বাড়িতে ঢুকে প্রথমে বাবা-মাকে কোপায়, তারপর ছোটো মেয়ে। ঘটনায় তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের গণপিটুনির শিকার হয়েছে অভিযুক্ত যুবকও। আপাতত তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে সেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।