CPM: মহম্মদ সেলিমের সভার আগেই উত্তেজনা, সিপিএম কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
Cooch behar: বৃহস্পতিবার সিপিআইএম-র পলিট ব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম এর জনসভা করার কথা ছিল শীতলকুচিতে।
কোচবিহার: সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা। মহম্মদ সেলিমের সভার আগেই সিপিএম এর কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় ভাঙচুর চালানো হয় গাড়ি। আহত বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী।
বৃহস্পতিবার সিপিআইএম-র পলিট ব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম এর জনসভা করার কথা ছিল শীতলকুচিতে। সেই উদ্দেশে ব্লক জুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে সিপিআইএম তরফে। আর সেই প্রচারের গাড়িতে আক্রমণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
সিপিআইএমের অভিযোগ, বুধবার শীতলকুচি ব্লকের ছোটো সালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চারহাট এলাকায় তাঁদের প্রচারের গাড়ি ও মাইক ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় ছয় জন সিপিআইএম কর্মী আহত হয়েছে বলে সিপিআইএম এর তরফে জানানো হয়েছে। তারা শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই বিষয়ে সিপিআইএম এর তরফে শীতলকুচি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান কোচবিহার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হরিশ চন্দ্র বর্মণ জানান।
কোচবিহার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হরিশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘এই বিষয়ে শীতলকুচিতে আমাদের পার্টির তরফে একটি জনসভা করার কথা ছিল। সেই জনসভা উপলক্ষ্যে আমাদের কমরেডরা প্রচার চালাচ্ছিলেন। প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়েই আমরা প্রচার চালাতে শুরু করি। প্রচারের জন্য গাড়ি, মাইক সব ছিল। এবার সেই গাড়ি যখন প্রচার করে আসছিল তখন পঞ্চায়েত হাটের সামনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই গাড়িটিকে আটকায়। এরপর আমাদের গাড়ির ভিতরে থাকা কমরেডদের লাঠি, বল্লম দেখান হয়। এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখান হয়। এরপর গাড়ির চালক সহ কমরেডদের মারধর করা হয়।’ এই বিষয়ে এলাকার তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এলাকার ওসি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি শুনেছি যে ওরা প্রচারের নামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সকলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছিলেন। চোর বলছিলেন। কারোর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে তা বিচারাধীন বিষয়। সেই কারণেই এই ঘটনার প্রতিফলন হয়েছে।’