শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন
চতুর্থ দফা ভোটে রক্তাক্ত হয় জোড়পাটকি। অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ নিরীহ যুবকের। তৃণমূলের দাবি, ওই চারজনই ছিলেন তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ভোটকেন্দ্রের সামনে ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরেছিল তাদের।
কোচবিহার: চতুর্থ দফা ভোটের দিন থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ও চার যুবকের মৃত্যু হওয়া কোচবিহারে (Coochbehar) শীতলকুচির (Shitalkuchi) ১২৬ নম্বর বুথে পুননির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
সপ্তম দফা ভোটের দিন কমিশন সূত্রে জানা গেল, শীতলকুচির জোরপাটকি অঞ্চলের ১২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হবে আগামী ২৯ এপ্রিল। অর্থাৎ, রাজ্যের শেষ দফা ভোটে মালদহ পার্ট ২, মুর্শিদাবাদ পার্ট ২, বীরভূম ও কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের সঙ্গে শীতলকুচির সেই কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণের তারিখ ২৯ এপ্রিল বলে জানাল কমিশন।
চতুর্থ দফা ভোটের দিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকিতে। অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ নিরীহ যুবকের। তৃণমূলের দাবি, ওই চারজনই ছিলেন তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ভোটকেন্দ্রের সামনে ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরেছিল তাদের। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় তারা। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপর বর্তায় বলে দাবি করেন। এমনকি তাঁর পদত্যাগ করা উচিত মন্তব্য করেন। এই অশান্তির মাঝে ওই কেন্দ্রের ভোটে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
আরও পড়ুন: সরকারি সম্পত্তি ও আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে আধাসেনা, বৈধ বলল কমিশন
এদিকে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করে, সন্ত্রাস করে ভোট করতে গেলে এমণ পরিণতিই হবে। তাঁরা এঘ ঘটনার পিছনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ‘প্ররোচনামূলক’ মন্তব্যকে দায়ী করেন। যদিও এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর কারণ নিয়ে। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর ব্যাখ্যা নিয়েও জারি জল্পনা। তবে চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনাকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসবের মাঝে অবশ্য, গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল একাধিক বঙ্গবাসীর। সেই আলোচিত ১২৬ নম্বর বুথে পুননির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।