TMC MLA: দলে কিছু বিজেপির দালাল আছে, বিস্ফোরক সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক

Coochbehar: এর আগে চামটায় এক সভাতেও একইভাবে সুর চড়িয়েছিলেন জগদীশ। বার্তা দিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পেতে গেলে নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে আসতে হবে।

TMC MLA: দলে কিছু বিজেপির দালাল আছে, বিস্ফোরক সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক
সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 10:56 PM

কোচবিহার: আগামী বছরই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। জেলায় জেলায় তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে প্রতিটা রাজনৈতিক দলই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এখন থেকে ঘুঁটি না সাজালে লড়াই মোটেই সহজ হবে না। তা বিরোধীই হোক, বা শাসকশিবির। গত পুরসভা ভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসকদলকে। কলকাতা থেকে তালিকা ঘোষণার পরও রোখা যায়নি ‘বিদ্রোহের’ আঁচ। এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে শুরু চাপানউতর। কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া। রবিবার এক অনুষ্ঠানে তাঁকে প্রকাশ্যে বলতে শোনা যায়, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে প্রার্থী বাছবেন সাধারণ মানুষ। কোনও নেতা নন। একইসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া এদিন বলেন, দলে কিছু বিজেপির দালাল রয়েছে। ভোটের বাদ্যি বাজতেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তাঁরা।

জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “আমাদের দল এবার প্রার্থীর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনও দাদা বা নেতার সুপারিশ শুনবে না। গ্রামস্তরে সাধারণ মানুষের কথা শুনবে। আপনারা যাঁকে পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে চান, পঞ্চায়েত সভাপতি হিসাবে চান, সভাধিপতি হিসাবে চান, আমি তাঁকেই প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেব। কোনও দাদা বললে আমরা তাঁর কথা শুনব না।”

জগদীশ বসুনিয়ার অভিযোগ, “তৃণমূল কংগ্রেসে বিজেপির কিছু দালাল আছে। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। একুশের নির্বাচনে বা ঊনিশের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে তলে তলে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছে। আজ তারা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য জায়গায় জায়গায় মিটিং করে বেড়াচ্ছে। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।”

এর আগে চামটায় এক সভাতেও একইভাবে সুর চড়িয়েছিলেন জগদীশ। বার্তা দিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পেতে গেলে নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে আসতে হবে। সেই হাজিরার উপর নির্ভর করবে, দলের প্রতীকে কে পঞ্চায়েতে লড়ার সুযোগ পাবেন আর কে পাবেন না। দলের কর্মীরা কতটা জনসংযোগ করতে পারছে, কতটা দলমুখী তা দেখেই সবটা বিচার করা হবে।