Jalpaiguri: করোনা আক্রান্ত শিশুর খবর সামনে আসতেই মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য আধিকারিকের!

COVID-19: সাংবাদিকদের তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হয় হাসপাতাল সুপারকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা।

Jalpaiguri: করোনা আক্রান্ত শিশুর খবর সামনে আসতেই মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য আধিকারিকের!
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 1:38 PM

জলপাইগুড়ি: অজানা জ্বর নিয়ে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি ছিল জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের। এবার এই জ্বর ও শ্বাসকষ্টর মধ্যে এক শিশুর করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেল। শিশুটির মায়ের শরীরেও মিলেছে সংক্রমণের হদিশ। তবে আক্রান্ত শিশুর খবর সামনে আসতেই মুখে কুলুপ আটল স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা।

সাংবাদিকদের তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হয় হাসপাতাল সুপারকে। এই মুহুর্তে জেলার হাসপাতালের পরিস্থিতি কীরকম?কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে?তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন ইত্যাদি। কিন্ত প্রতিটি প্রশ্নই এড়িয়ে যান হাসপাতাল সুপার ডাক্তার গয়ারাম নস্কর। তিনি প্রথমে বলেন, “কেউ নেই।” পরে বলেন, “আমি জানিনা। যা জানাবার তা জানাবেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।”অথচ এতদিন ধরে হাসপাতাল সংক্রান্ত যে কোনও খবর সম্পর্কে হাসপাতাল সুপার প্রতিক্রিয়া দিতেন।

এদিকে, বিষযটি কিন্তু নজর এড়ায়নি বিরোধীদের। বিজেপির বক্তব্য, সরকার সঠিক তথ্য় সামনে নিয়ে আসছে না। সমস্ত তথ্য গোপন করছে। অন্যদিকে, শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে আতঙ্ক বেড়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।

উল্লখ্য, আজই জলপাইগুড়িতে এক শিশুর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। এই শিশুর সঙ্গে তার মায়ের দেহেও করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মা ও শিশু উভয়কে জলপাইগুড়ি নাইট শেল্টার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

ইতিমধ্যে শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বর শুরুর গোড়ার দিকে অর্থাৎ দিন আটেক আগে এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর দিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ফের নতুন করে আরও এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো দুই।

রবিবারই মালদা ও শিলিগুড়িতে ফের শিশমৃত্যু হয়েছে। মানিকচকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৬ মাসের শিশুর। এই নিয়ে মালদায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মোট ৭ শিশুর। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেডের অভাব। এক-একটি বেডে তিন জন করে শিশুর চিকিত্সা চলছে। এই নিয়ে চার জেলায় মোট ১৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও ৮টি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা যাচ্ছে, জ্বরের পাশাপাশি তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে শিশুদের মধ্যে। বেশিরভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে চিকিত্সকরা বলছেন। আর কিছুক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে এমআইএস-এর লক্ষ্মণ। এক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি, সেটা হল তাদেরকে নতুন করে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঁচ বছরের বয়সের কম শিশুদের মধ্যে এই লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, এটা আরএস ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। আরএস ভাইরাসের দাপট সারা বিশ্বে জুলাইয়ে দেখা গিয়েছিল। সময়ের অনেক আগেই এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। শীতকালে যে ভাইরাস হানার কথা, তা দুমাস আগেই অগাস্ট-সেপ্টেম্বরেই দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Unknown Fever: মালদায় ফের জ্বরের বলি মাত্র ১ মাসের শিশু!

আরও পড়ুন: COVID: তৃতীয় তরঙ্গের হাতছানি? জলপাইগুড়িতে আরও এক শিশু কোভিড পজিটিভ