Unknown Fever: জ্বর-সর্দি-কাশি, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট! উত্তরের পর এবার দক্ষিণেও অজানা জ্বর আতঙ্ক

Unknown Fever: যদিও শিশুদের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, তাঁদের বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছে। আর সেই উপসর্গ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তারা।

Unknown Fever: জ্বর-সর্দি-কাশি, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট! উত্তরের পর এবার দক্ষিণেও অজানা জ্বর আতঙ্ক
উত্তর থেকে দক্ষিণ, জ্বরে কাঁপছে বাংলা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 12:47 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: জ্বর-সর্দি-কাশি, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গ একই। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ২৫ জন শিশু চিকিত্সাধীন। প্রত্যেকেরই বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। শিশু বিভাগে সন্তানদের সঙ্গে রয়েছেন মায়েরা। অজানা জ্বরের প্রকোপে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ।

এই ব্যাপারে বসিরহাটের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ক্যামেরার সামনে সরাসরি জ্বরের কথা স্বীকার না করলেও, তাঁরা বলছেন, “জ্বর নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এটা ঋতু পরিবর্তনের ভাইরাল ফিভার। সকলকে সঠিক চিকিৎসা করে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও সতর্ক রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।”

যদিও শিশুদের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, তাঁদের বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছে। আর সেই উপসর্গ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তারা। জ্বর নিয়ে ভর্তি হলে দ্রুত তার রক্ত ও লালা রস পরীক্ষা করার জন্য কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। এতো শিশু এক সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ায় নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধছে। তাহলে কি অজানা জ্বরের থাবা এবার দক্ষিণেও পড়তে চলেছে? সেই প্রশ্নই উঠে আসছে।

প্রতিদিন শিশুদের নিয়ম করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অসুস্থ শিশুদের ওপর দিনরাত নজর রাখা হচ্ছে।

এদিকে, অজানা জ্বর থাবা বসিয়েছে উত্তরবঙ্গে। জ্বর-শ্বাসকষ্টর মাঝে এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। মা ও শিশু উভয়কে জলপাইগুড়ি নাইট শেল্টার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

দিন আটেক আগে এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর দিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ফের নতুন করে আরও এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো দুই।

এদিকে, রবিবারই মালদা ও শিলিগুড়িতে ফের শিশমৃত্যু হয়েছে। মানিকচকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৬ মাসের শিশুর। এই নিয়ে মালদায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মোট ৭ শিশুর। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেডের অভাব। এক-একটি বেডে তিন জন করে শিশুর চিকিত্সা চলছে। এই নিয়ে চার জেলায় মোট ১৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও ৮টি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা যাচ্ছে, জ্বরের পাশাপাশি তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে শিশুদের মধ্যে। বেশিরভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে চিকিত্সকরা বলছেন। আর কিছুক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে এমআইএস-এর লক্ষ্মণ। এক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি, সেটা হল তাদেরকে নতুন করে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঁচ বছরের বয়সের কম শিশুদের মধ্যে এই লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, এটা আরএস ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। আরএস ভাইরাসের দাপট সারা বিশ্বে জুলাইয়ে দেখা গিয়েছিল। সময়ের অনেক আগেই এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। শীতকালে যে ভাইরাস হানার কথা, তা দুমাস আগেই অগাস্ট-সেপ্টেম্বরেই দেখা গিয়েছে।

আরএস ভাইরাস কী?

শ্বাসযন্ত্রের সিনসাইটাল ভাইরাস। কাশি বা হাঁচির পরে ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণত শীতকালে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই আরএস ভাইরাস। শিশুরাই সংক্রমিত হয় বেশি।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence Case: ভোর রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই-এর হানা, আটক পলাতক তৃণমূল কর্মীর ছেলে