AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কলকাতা, দুই পরগনার পর জেলায় জেলায় ছোবল, ভয়ানক ভবিষ্যত দেখাচ্ছে মারণ ভাইরাস

গোটা দেশ যেভাবে সংক্রমণের ভয়াবহতা দেখছে, সেখান থেকে বাদ পড়েনি বাংলাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন।

কলকাতা, দুই পরগনার পর জেলায় জেলায় ছোবল, ভয়ানক ভবিষ্যত দেখাচ্ছে মারণ ভাইরাস
ছবি- পিটিআই
| Updated on: Apr 18, 2021 | 2:09 PM
Share

কলকাতা: মোট করোনার আক্রান্তর নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় ভারত। প্রথমে আমেরিকা। তবে যেভাবে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে ভারত। সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের পর দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুহার কম, অন্তত এতদিন এই রূপোলি রেখা দেখছিল গোটা দেশ। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় মৃতের সংখ্য়াও বাড়ছে। করোনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ দিন পরে দেশের সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা এখনই ১৮ লক্ষের বেশি।

গোটা দেশ যেভাবে সংক্রমণের ভয়াবহতা দেখছে, সেখান থেকে বাদ পড়েনি বাংলাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন। যা আগের দিনের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা আটশোরও বেশি। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনাতে হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। করোনা বিধ্বস্ত জেলা হিসেবে নাম উঠে আসছে হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মালদারও। গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩২ জন। হুগলিতে একদিনে করোনার কবলে পড়েছেন ৩২১ জন। বীরভূম, মালদাতেও ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪০৬, ৩৪৪।

এমতাবস্থায় ১৪ দফা কৌশল অবলম্বন করে করোনা রোখার চেষ্টা করছে নবান্ন। বেডের আকাল থেকে অক্সিজেনের জোগান সব সমস্যা মেটাতে রাজ্যগুলির সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্র। তবু একাধিক রাজ্যে রোখা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণের দ্রুততা। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যেও বেডের আকাল। একাধিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বেডের ঘাটতি। গত বছরের তুলনায়ও এ বছর বেড কম। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তদের সিংহভাগই রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে বেড নিয়ে টানাটানি পরিস্থিতি তৈরি হবে। এমতাবস্থায় করোনাবিধি সঠিক ভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তা জানতে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

প্রধানমন্ত্রীও বারবার করোনা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করছেন। দেশ করোনা রোখার জন্য মূলত ভরসা করছে ভ্যাকসিনের ওপর। কিন্তু ভ্যাকসিনেরও পর্যাপ্ত জোগান নেই। একাধিক রাজ্যে টিকার ঘাটতি। সব মিলিয়ে ক্রমশ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে দেশের করোনা পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন: ভোট মিটলেও জারি সন্ত্রাস! ছোড়া হল বোমা, চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ প্রার্থীর! অভিযোগে ধুন্ধুমার মিনাখাঁয়