আমফান তছনছ করেছিল সোনার ফসল, ইয়াস-আতঙ্কে কাঁচা ধানই তুলে ফেলছেন অন্নদাতারা
ঝড় (Cyclone Yaas) এসে সব তছনছ করার আগেই, যতটা সম্ভব ফসল বাঁচাতে দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন বাংলার কৃষকরা।
মেদিনীপুর: আমফানের (Amphan) তাণ্ডবে প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছিল গত বছর। সেই ঝাপটা কাটিয়ে ওঠার আগেই ইয়াসের ভ্রুকুটিতে ত্রস্ত গ্রামবাংলার কৃষকরা। আগেভাগেই জমি থেকে তুলে ফেলছেন কাঁচা ধান বা সবজি।
২০২০ সালের মে। আমফানের তাণ্ডবলীলায় তছনছ হয়েছিল বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয় ক্ষেতেই। ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার এক বছর কাটতেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা, ঘাটাল, দাসপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা চাষবাসের উপর নির্ভরশীল। একে লকডাউনে ধান-সবজি কাটার লোক কম। তার উপর কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এরইমধ্যে ইয়াসের ভ্রুকুটি। নাওয়া-খাওয়া ভুলে এখন ধান তুলতে ব্যস্ত চাষিরা।
গতবছর আমফানে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর, বসিরহাট-১, বসিরহাট-২, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, মিনাখাঁর বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতি হয় আম চাষের। সেই রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই ধেয়ে আসছে ইয়াস। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বসিরহাটের চাষিরাও।
আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ থেকে সোমবারই ঝড়ের রূপ ইয়াসের, সন্ধ্যার পর থেকে উপকূলে দাপট দেখাবে হাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আতঙ্কে উত্তরবঙ্গের অন্নদাতারা। রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রাম। এখানে মূলত সবজি চাষ হয়। টানা বৃষ্টিতে আগেই প্রচুর সবজি নষ্ট হয়েছে। লকডাউনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। এর মধ্যে ইয়াস ক্ষেতজুড়ে তাণ্ডব চালালে, পরিস্থিতি কী হবে ভেবে আঁতকে উঠছেন কৃষকরা। ঝড় এসে সব তছনছ করার আগেই, যতটা সম্ভব ফসল বাঁচাতে দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন বাংলার কৃষকরা।