ডিমের ঘায়ে মূর্ছা মধ্যবিত্ত! লকডাউনে রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

পুষ্টিকর খাদ্যের তালিকার প্রথম সারিতেই রয়েছে ডিম। করোনাকালে রোগ প্রতিরোধে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই ডামের দামেও কার্যত ছ্যাঁকা খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা। রাজ্যে কার্যত লকডাউনে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিমের চাহিদা। আর এই পরিস্থিতিতেই মাথাচাড়া দিয়েছে ডিমের কালোবাজারি।

ডিমের ঘায়ে মূর্ছা মধ্যবিত্ত! লকডাউনে রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 23, 2021 | 11:50 PM

পূর্ব বর্ধমান: ‘সানডে হো ইয়া মনডে রোজ খাও আন্ডে।’ পুষ্টিকর খাদ্যের তালিকার প্রথম সারিতেই রয়েছে ডিম। করোনাকালে রোগ প্রতিরোধে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই ডামের দামেও কার্যত ছ্যাঁকা খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা। রাজ্যে কার্যত লকডাউনে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিমের চাহিদা। আর এই পরিস্থিতিতেই মাথাচাড়া দিয়েছে ডিমের কালোবাজারি। চড়া দামে বিকোচ্ছে এই পুষ্টিকর খাদ্যবস্তু।

ডিমের দাম বাড়তে পারে, এমনটা আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের প্রথম দিন থেকেই ডিমের যে এমন কালোবাজারি শুরু হবে, তা আন্দাজ করতে পারেননি আমজনতা। বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে ১ ট্রে ডিমের দাম ছিল ১৬৫ টাকা। প্রতিটি ট্রে-তে থাকে ৩০টা ডিম। এখন তা ১৮৫ বা ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের যুক্তি, ডিমের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু যোগান নেই। তাই দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।

তাই দোকানে ডিম পাওয়া গেলেও দামের ছ্যাঁকায় হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও আংশিক লকডাউন জারি হয়েছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ডিমের কালোবাজারি। সাধারণ ক্রেতাদের চড়া দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। ডিমের এই বেলাগাম  মূল্যবৃদ্ধিতে কার্যত ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষজন।

আরও পড়ুন: সিংহ হৃদয়: লকডাউনে কর্মহীন রিকশা চালকদের পুরো বেতন দান সিভিক ভলান্টিয়ারের 

তাঁদের অভিযোগ, পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এখনও যে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষকে বাজারে গেলে হামেশাই দেখা যায় একটু বড় সাইজের ডিম খুঁজতে, সেই কম দামের পুষ্টি জোগাড় করতে গিয়ে কার্যত ছ্যাঁকা খাচ্ছেন তাঁরা।