Balurghat: দিনে ২০০ টাকা আয় করতে ছোটে কালঘাম, ১৬ বছরের পুরনো নেশাতেই আমূল বদলে গেল বালুরঘাটের সবজি বিক্রেতার জীবন
Balurghat: বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাজার থেকে সবজি কিনে তা পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করা রোজকার রুটিন। প্রতিদিন মেরেকেটে দু’শো টাকা ঘরে আনতে কালঘাম ছুটে যায়। এবার সেই বাড়িতেই সকলের মুখে হাসি।
বালুরঘাট: ৩০ টাকার লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি বালুরঘাটের এক সবজি ব্যবসায়ী। যখন খবরটা শুনলেন তখন তো কার্যত আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বালুরঘাট শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বট কৃষ্ণপল্লী এলাকার সবজি ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দাস। তবে এখন কিছুটা ভয় ও আতঙ্কে রয়েছেন ওই সবজি ব্যবসায়ী। তবে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে নিজের একটা বাড়ি করবেন, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার পিছনে খরচ করবেন বলে মনস্থির করেছেন বিশ্বনাথ বাবু ও তাঁর স্ত্রী। একদিন আগে কোটি টাকা পাওয়ার খবর জানতে পারলেও এক প্রকার চুপচাপই ছিলেন বিশ্বনাথ বাবু। বৃহস্পতিবার রাতে কোটি টাকা পুরস্কার মাইকিং হওয়ার পর এলাকায় জানাজানি হয় বিষয়টি।
বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাজার থেকে সবজি কিনে তা পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করা রোজকার রুটিন। প্রতিদিন মেরেকেটে দু’শো টাকা ঘরে আনতে কালঘাম ছুটে যায় বিশ্বনাথবাবুর। এদিকে ছেলে-মেয়েরা বড় হচ্ছে। পড়াশোনা খরচ বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে সংসার খরচ। সংসারের হাল ধরতে সম্প্রতি স্ত্রী পরিচারিকার কাজ নিয়েছেন।
বছর চৌত্রিশের বিশ্বনাথ দাস ১৮ বছর বয়স থেকে লটারির টিকিট কাটেন। এই লটারির টিকিট কাটা নিয়ে প্রায়দিনই সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। অভাবের সংসারে কেন এই লটারির টিকিট কাটার নেশা! প্রায়ই বিশ্বনাথবাবুকে শুনতে হত এ কথা। কিন্তু, কে জানত একদিন তার এই নেশাতেই ঘরে আসবে লক্ষ্মী! তবে বেশ কয়েকবার লটারি কেটে অল্প কিছু টাকা করে পেয়েছেন বিশ্বনাথবাবু। বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার আগে পাওয়ার হাউজ এলাকার রোহিত চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ টাকার টিকিট কেটেছিলেন তিনি। তাতেই ঘোরে ভাগ্যের চাকা। ওই টিকিটেই এক কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি।