Balurghat: স্বামীর অকারণ সন্দেহ, মাশুল দিতে হল স্ত্রীকে!
Balurghat: প্রায় বছর আট আগে হরিশপুরের মহাবুর সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় গোলাপি খাতুনের। দেখাশোনা করেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। মহাবুর পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের একটি ছয় বছরের মেয়ে রয়েছে। মাস খানেক আগে মহাবুর ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি এসেছে।
কুমারগঞ্জ: স্ত্রীকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোঁওর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিশপুরে। মৃতার নাম গোলাপি খাতুন(২৪)। শ্বশুর বাড়ি কুমারগঞ্জের হরিশপুরে। বাবার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার জগদীশপুরে। কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে বুধবার তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় দেহটি বৃহস্পতিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে মৃতার পরিবার। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রায় বছর আট আগে হরিশপুরের মহাবুর সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় গোলাপি খাতুনের। দেখাশোনা করেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। মহাবুর পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের একটি ছয় বছরের মেয়ে রয়েছে। মাস খানেক আগে মহাবুর ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি এসেছে। এদিকে মাস চারেক ধরে গোলাপি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিলেন।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে গোলাপিকে মারধর করতেন তাঁর স্বামী। অকারণে স্ত্রীকে সব সময় সন্দেহ করতেন বলে অভিযোগ। গতকাল দুপুরে হঠাৎই ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবরে পেয়ে বাপের বাড়ির লোকেরা ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের দাবি, গোলাপির শ্বশুরবাড়ির থেকে দাবি করা হচ্ছিল, আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু মেয়ের পরিবারের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে যে ধরনের লক্ষ্মণ থাকা দরকার, সেগুলো কিছুই ছিল না। ঘটনাস্থলে যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।