Balurghat: ৬-৭ দিন ধরে জ্ঞান নেই, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলতেই রোগীর পরিজনদের মারধরের অভিযোগ

Balurghat: চলতি মাসের ২ তারিখে বালুরঘাটের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তপনের ভিকু রায়। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরই মারধরের অভিযোগ উঠেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

Balurghat: ৬-৭ দিন ধরে জ্ঞান নেই, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলতেই রোগীর পরিজনদের মারধরের অভিযোগ
ব্যাপক উত্তেজনা বালুরঘাটে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2023 | 7:33 PM

বালুরঘাট: রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু, তারপরেও হচ্ছে না চিকিৎসা। গত ৫-৬ দিন ধরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নার্সিংহোমে পড়ে আছে রোগী। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে বালুরঘাটের (Balurghat) একটি বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদ করায় রোগীর পরিবারকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। বৃহস্পতিবারই রোগীর আত্মীয়রা শেষ পর্যন্ত বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ (Police)।

সূত্রের খবর, জুনের ২ তারিখে বালুরঘাটের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তপনের ভিকু রায় (৫২)। গলব্লাডার-সহ আরও একটি অস্ত্রোপচারের করার কথা ছিল। কিছুদিন আগে বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা চলার সময় গলব্লাডারের পাথরের বিষয়টি নজরে আসে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বালুরঘাটের ওই নার্সিংহোমে ভিকুবাবুকে ভর্তি করে তাঁর পরিবার। গত ৩ তারিখে অস্ত্রোপচার হয় নার্সিংহোমে। অভিযোগ, অস্ত্রোপচার করার পর থেকেই তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। এমনকি গত কয়েকদিন ধরে তাঁর আর জ্ঞানও ফেরেনি বলে দাবি করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এদিন হঠাৎ করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ওই রোগীকে বাইরে রেফার করে। কিন্তু, রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ যে বাইরে নিয়ে যেতে গেলে রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হতে পারে। এমনটাই মনে করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে রোগীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। যদিও ভিকুবাবুর মেয়ে মুনমুন রায় বলছেন, “আমার বাবা সুস্থ অবস্থায় এসে নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এখন বাবার যা অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না আর ঘরে ফিরবে। কোনও জ্ঞান নেই এখন আর। ডাক্তাররা বলছে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু, আমরা ডাকলেও বাবা উঠছে না। কোনও সাড়া নেই। আমরা বুঝতে পারছি চিকিৎসা ঠিকভাবে হয়নি। এখন ডাক্তাররা মালদায় রেফার করেছে। কিন্তু, আমি আমার বাবাকে আগের মতো অবস্থায় ফেরত চাই। অভিযোগ জানাতে গেলে আমাদের মারধর করেছে। সে কারণেই থানায় এসেছি।” অন্য়দিকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে অপারেশনস ম্যানেজার মনিশংকর খাসমল বলেন, “নার্সিংহোমের ভিতরে মারামারির কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাইরে কিছু হয়ে থাকলে আমার কিছু জানা নেই।”