Murder: ‘ইমেলটা হচ্ছে ওর ভালবাসা, রাতে এসে থাকে, গাড়ি কিনে দিয়েছে’, প্রৌঢ় খুনে কাঠগড়ায় তান্ত্রিক স্ত্রী ও প্রেমিক
South Dinajpur: সাধুহার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কাঞ্চনা সরকারের। স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনা তন্ত্র সাধনা করতেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর: মনুয়াকাণ্ডের ছায়া এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বংশীহারীতে। প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে স্বামীকে খুনের অভিযোগ। স্থানীয় এলাহাবাদ গ্রামে বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই পিকনিকের নামে স্বামীকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। নিহতের নাম অনুপ সরকার (৫০)। সাধুহারের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্ত্রী কাঞ্চনা সরকারকে বেধড়ক মারধর করেন উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। সঙ্গে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ তারাই মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি কাঞ্চনা সরকারকেও থানায় নিয়ে যায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সাধুহার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কাঞ্চনা সরকারের। স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনা তন্ত্র সাধনা করতেন। সেই সূত্রেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা ইমেল হাঁসদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। শুক্রবার রাতে অনুপ সরকারের বাড়িতেই পিকনিকের আসর বসেছিল। অভিযোগ, সেখানে ইমেল হাঁসদাও ছিলেন বলে অভিযোগ। সেখানেই অনুপ সরকারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ইমেলের। সেই সময়ই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির সামনে বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
অনুপের পিসি রঞ্জু মণ্ডল বলেন, “রাতে ওই বাড়িতে মদ, মাংস নিয়ে পিকনিক হচ্ছিল। প্রায়ই ওই বাড়িতে এসব হয়। সব টাকা অনুপের বউ দিত। বউ তো তন্ত্রমন্ত্র করে একসঙ্গে ২৫ হাজার ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসে প্রায়ই। ওই সব খরচ করে। শুক্রবার ওদের বাড়িতে খুব গোলমাল হয় বলে শুনেছি। ওখানেই ছেলেটাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা তাইজুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের তিন নম্বর এলাহাবাদ। এখানে সরকার বাড়ির ওই মহিলা জাদুটোনা করত। ওর আবার ভালবাসা ছিল একটা অন্য লোকের সঙ্গে। ওরাই পরিকল্পনা করে স্বামীকে মেরেছে। এর আগেও মারার চেষ্টা করেছে। লোকটা আমাদের দোকানে গিয়ে বলেওছিল। আমরা অতটা গুরুত্ব দিইনি। এখন তো দেখলাম কী হল! শুক্রবার ওরা ফিস্ট করেছে। খেয়ে দেয়ে অনুপকে মেরে তারপর ঝুলিয়ে দিয়েছে। লোককে বোঝাবে আত্মহত্যা করেছে। ইমেল, অপু আর স্বপন এই তিনজন আসল। ইমেলটা হচ্ছে ওর ভালবাসা। রাতে এসে থাকে, আবার চলে যায়। লোকটার যাতে যাতায়াতের সুবিধা হয় তার জন্য একটা মারুতি গাড়িও কিনে দিয়েছে। মহিলাটা তন্ত্রমন্ত্র করে বহু পয়সা করেছে। এবার বরটাকে মারল।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর রোম সফর ‘সঙ্গতিপূর্ণ নয়’, বিদেশমন্ত্রকের অনুমতি পেলেন না মমতা