উপড়ে গিয়েছে চোখ, দোকানের সামনেই ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক পরিণতিতে শিউরে উঠেছেন পুলিশকর্তারাও
Balurghat: সাতসকালে দৃশ্য দেখে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে পথ চলতি সাধারণ মানুষের।
বালুরঘাট: মাথার একাংশ প্রায় খুবলে নেওয়া হয়েছে। বেরিয়ে গিয়েছে ঘিলু। বাঁ চোখ উপড়ে গিয়েছে। চিত্ হয়ে পড়েছিল শরীরটা। সাতসকালে দৃশ্য দেখে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে পথ চলতি সাধারণ মানুষের। প্রথমে ঠাওর করতেই অসুবিধা হয়। পরে চিনতে পারেন এ যে তাঁদের এলাকারই ব্যবসায়ী। বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গারামপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম মানিক সাহা (৪৭)।
মানিক গঙ্গারামপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোদংপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফেনসিডিল ব্যবসায়ী বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। এদিন সকালে মানিক সাহার মাথা থ্যাতলানো দেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাত এগারোটা পর্যন্তও ওই এলাকা দিয়ে লোক চলাচল করেন। তখনও এমন কিছু দেখতে পাওয়া যায়নি।
মধ্যরাতেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা কোপানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। দেহটি এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছে, তা দেখে শিউরে উঠেছেন দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, ব্যবসায়ীক কোনও কারণে খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই ব্যবসায়ী। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। অন্য দিকে এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মৃতের পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ডেনডুপ শেরপা, গঙ্গারামপুর থানার আইসি প্রদীপ সরকার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে পিকনিক করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। মৃত মানিক সাহার স্ত্রী রাত দশটা নাগাদ ফোন করলে, ‘আসছি’ বলে ফোন কেটে দেন মানিক। তারপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গঙ্গারামপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
এবিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সঞ্জয় দাস জানান, তাঁর দোকানের সামনেই দেহটি এই অবস্থায় পড়ে ছিল৷ সকালে বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। আরও পড়ুন: দোকানের সামনে চপ্পল, রাস্তায় রক্তের ছাপ অস্পষ্ট! বিরাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনে মায়ের বয়ানে নয়া তত্ত্ব