Balurghat: পরপর বিস্ফোরণের জের, বাজি মজুত দোকান-গুদামে অভিযান প্রশাসনের
Balurghat: বুধবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের তহবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকার নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার করেছে।
বালুরঘাট: রাজ্যের একের পর এক বাজি কারখানায় ও গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। অবৈধভাবে বাজি মজুত রাখা দোকান বা গুদামে যৌথ ভাবে পুলিশ ও প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। মূলত পুলিশ, দমকলকর্মী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা একযোগে এই অভিযান চালায়। বালুরঘাট শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে একযোগে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷ বুধবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের তহবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকার নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার করেছে। শুধুমাত্র বালুরঘাট নয় জেলার অন্যান্য থানা এলাকাতেই অভিযান চলছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নিষিদ্ধ বাজি মজুত রাখার অভিযোগে দুজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে হরিরামপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হরিরামপুর থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ ১৪ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছ। ধৃত দুই ব্যবসায়ীর নাম রমেন গুপ্তা এবং সোমিও গুপ্তা। তাদের আজ গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের তোলা হয়। উদ্ধার হওয়া বাজির বাজার মূল্য ১৫ হাজার টাকা।
মূলত রাজ্যের বিভিন্ন বাজি কারখানায় এবং গুদামে আগুন লাগার ঘটনা এবং বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই সতর্ক হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। যাতে এই জেলাতেও বাজি গুদাম থেকে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন,”দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বাজি কারখানা নেই। তবে অনেকে বাজি মজুত করে রাখেন। কেউ বাজি মজুত রাখলে তা বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “অবৈধভাবে বাজি মজুত রাখার ঘটনায় তিনজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা জুড়ে অবৈধ বাজি রাখার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।”