Balurghat College: টিএমসিপির মারে ডিএসও ছাত্রের কাটল কপাল, অভিযোগ ঘিরে বালুরঘাট কলেজে তুলকালাম
Balurghat: দীপক মোহন্ত নামে এক ছাত্র এর প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, এরপরই তাঁর গায়ে হাত তোলা হয়। তা দেখে সুমন সোরেন নামে এক ডিএসও সদস্য এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বালুরঘাট: পরিচয়পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কলেজে (Balurghat College) গোলমালের অভিযোগ উঠল। ডিএসও সদস্যের কপাল কেটে যায় বলে অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কলেজচত্বরে। দুই ছাত্র সহ ডিএসও-র সদস্যরা বালুরঘাট কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখান। যদিও মারধরের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। প্রথম সেমেস্টারে ২ হাজার জন পড়ুয়া রয়েছে। কলেজের পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত।
যেহেতু ছাত্র-ছাত্রী প্রচুর, তাই ৯ দিন ধরে পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার পরিচয়পত্র প্রদানের দ্বিতীয় দিনেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন পরিচয়পত্র নেওয়ার জন্য সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন শতাধিক ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, তীব্র গরমে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকলে। অথচ এরইমাঝে লাইনের ফাঁক দিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বেছে বেছে পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছিল আগে।
দীপক মোহন্ত নামে এক ছাত্র এর প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, এরপরই তাঁর গায়ে হাত তোলা হয়। তা দেখে সুমন সোরেন নামে এক ডিএসও সদস্য এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের কথায়, কোনও নিয়ম না মেনেই পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের। তারই প্রতিবাদ করায় প্রহৃত হতে হল কলেজ ছাত্রদের।
সুমন সোরেণের কপালের দিকে বাঁদিকের ভ্রু-এর উপরে কেটেও যায়। এরপরই কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষকেও আক্রান্তরা জানিয়েছেন বলেই দাবি করেন। যদিও পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের পাল্টা দাবি, ডিএসও-র কোনও সংগঠন নেই কলেজে। খবরে থাকতে এসব মিথ্যা কথা রটাচ্ছে। বালুরঘাট কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য শুক্লা ভুঁইমালির দাবি, কলেজে এরকম কোনও ঘটনা ঘটেইনি।
বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু পরে এ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, পরিচয়পত্র নেওয়াকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কি একটা হয়েছিল। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে মিটমাট করিয়ে দেন। তবে কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন পঙ্কজবাবু।